সমকালের দর্পণ

মেজর মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম (অব.) | রবিবার , ১৬ জুন, ২০২৪ at ৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ

১৩ মে ২০২৪ ইরান এবং ভারতের মাঝে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী ভারত আগামী ১০ বছর ইরানের চা বাহার বন্দর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ভারত ইরানের এ বন্দর ব্যবস্থাপনা ছাড়াও বন্দর উন্নয়নে যাবতীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করবে।

ইরানভারত বন্দর সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার সাথে সাথেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে নিষেধাজ্ঞার কবলে পরার হুমকি দিয়ে বসে। ভারত নিঃশ্চয়ই মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কথা বিবেচনায় নিয়েই এ চুক্তি স্বাক্ষরে অগ্রসর হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে উচ্চারিত ভারতীয় তৎকালীন এবং ৯জুন ২৪ পুনঃরায় দায়িত্বপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী ড. এস জয়শংকরের এই বক্তব্যটি আমার কাছে প্রণিধানযোগ্য মনে হয়েছে ‘পাশ্চাত্য সব সময় মনে করে এসেছে তাদের সমস্যা আমাদেরও সমস্যা, কিন্ত্তু আমাদের সমস্যা তাদের সমস্যা নয়’। এ দৃষ্টিকোণ এবং বোধ থেকে ভারত আমেরিকার হুমকি বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও চা বাহার চুক্তি স্বাক্ষরে অগ্রসর হয়েছে এ বিষয়ে কারো বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই।

উল্লেখ্য ইতিপূর্বে ইরানের উপর আমেরিকার কঠোর নিষেধাজ্ঞা বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও ভারত ইরান থেকে ক্রুড তথা জ্বালানি তেল আমদানী করেছে। সেই আমদানীকৃত ক্রুড ভারতীয় শোধানাগারে পরিশোধনের পর তা ইউরোপে রপ্তানী হয়েছে, এমনকি এ জ্বালানীর অংশ আমেরিকাতেও পৌঁছেছে। এতে করে ভারতীয় অর্থনীতি বিপুলভাবে লাভবান হয়েছে।

রাশিয়ার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে, আমেরিকা রাশিয়ার উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, এটা করা হয় ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে। এক্ষেত্রেও ভারত রাশিয়ান ক্রুড অবলীলায় আমদানী করে তা শোধনান্তে ইউরোপের বাজারে রপ্তানী করেছে। আমেরিকা তার নিষেধাজ্ঞার অস্ত্র সংবরণ করে ভূঅর্থনীতির অংক কষতে থাকে। এ অংক আমেরিকার কৌশল প্রণেতাদের জন্য সরল অংক, রাশিয়াইরানের বেঁধে দেওয়া দামের ক্রুড ভারতে যাক। সেখান থেকে মিত্র ইউরোপিয়ানরা যেন জ্বালানী সংকটে না পরে সেজন্য ভারত তার শোধনাগারে পরিশোধিত জ্বালানী ইউরোপে রপ্তানী করুক। এ রপ্তানী আয়ে ভারত তার অর্থনীতি চাঙ্গা করুক। চাঙ্গা অর্থনীতির বলে পরে ভারত অস্ত্র ক্রয় করুক। এবং অবশেষে সে অস্ত্র চীনের বিরুদ্ধে ব্যবহার হোক। সুতরাং এক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। অংকের সোজা হিসাব।

একই ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ার উপর কঠিন কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ থাকা অবস্থায়ও ভারত যখন রাশিয়া থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস ৪০০ ক্রয় করে। তখনও আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা অস্ত্র ছিল একেবারে নিষ্ক্রিয়। এখানেও ভূরাজনীতি এবং ভূকৌশলের হিসাব। এই সর্বাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শেষ বিচারে চীনা ভবিষ্যৎ যেকোনও আক্রমণের বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে। আমেরিকানদের এই হিসাব।

পরিহাসের বিষয় আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের ছোট দেশগুলিকে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে বেশি দামে জ্বালানী যেমন ক্রয় করতে হয় তেমনি একইভাবে আমাদের বেসামরিক জ্বালানী প্রকল্পের যন্ত্রপাতি নিয়ে আসা জাহাজকে নিষেধাজ্ঞার অজুহাতে আমাদের বন্দরে ভিড়তে না দিয়ে পরাশক্তি আমেরিকা আমাদের অর্থনীতির উপর অতিরিক্ত ব্যয়ের বোঝাও চাপিয়ে দিতে এতটুকু কুণ্ঠিত নয়।

এবার আসি চাবাহারে। চাবাহারে ভারতীয় ব্যবস্থাপনা চালু এবং বিনিয়োগ শুরু হলে দেখা যাক আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার কী হাল হয়। তবে প্রশ্ন হল চাবাহারকে নিয়ে ভারত আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি নিতে গেল কেন? এর পিছনে ভারতীয় নীতি নির্ধারকদের বড় যুক্তি হল চাবাহার পাকিস্তানের মুখাপেক্ষি না হয়ে ভারতকে আফগানিস্তানে প্রবেশের অবারিত সুযোগ দেবে। অন্যদিকে চীনপাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর ঘিরে গড়ে উঠা ‘গাদওয়ার’ সমুদ্র বন্দরকে ভারত একধরনের ভূকৌশলগত চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিতে পারবে। এছাড়া ভারতের জন্য চাবাহার যে কারণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হল এ বন্দর ভারতকে ইরান হয়ে আফগানিস্তানে সরাসরি প্রবেশের যেমন সুযোগ দিবে তেমনি চাবাহার ভারতকে মধ্য এশিয় অঞ্চলগুলির সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের অবারিত চলাচলের সুযোগও সৃষ্টি করে দেবে। একই সাথে মধ্য এশিয় দেশগুলি বিশেষ করে তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, আজারবাইজান ইত্যাদি অঞ্চলের প্রচুর খনিজ সম্পদ বিশেষ করে জ্বালানী তেলের অফুরন্ত মওজুদ যেমন ব্যবহারে ভারত সুযোগ পাবে তেমনি ভারতীয় বাজারের জন্য এ অঞ্চলের দ্বারও খুলে যাবে। তবে এ অঞ্চলে ভারতের প্রভাব প্রতিপত্তি বিস্তার করা অত সহজ নাও হতে পারে। কারণ ইতিমধ্যে চীন ইরানের সাথে আগামী দুই দশকে ইরানকে ভিত্তি করে ৪০০ (চারশত) বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে রেখেছে। চীন তার এই বিনিয়োগের মাধ্যমে আফগানিস্তান এবং মধ্য এশিয় অঞ্চলে তার অভিষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনে সচেষ্ট হবে। এ অবস্থায় ভারত বরাবরই ভূকৌশলগত কঠিন এক চ্যালেঞ্জের মুখে থাকবে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

চীনের দিক থেকে এই চ্যালেঞ্জই হয়ত ভারতকে ইরানের চাবাহারে উপস্থিতির কারণে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হাত থেকে বাঁচিয়ে দেবে। কারণ আমেরিকানদের সামনে ভারতের অকাট্য যুক্তি হবে, চীনকে এককভাবে মধ্য এশিয় অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করতে দেওয়া যায় না। এমন দৃশ্য বা অবস্থা আমেরিকার স্বার্থেরও অনুকূল নয়। আর ভবিষ্যৎ এ চীনের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধে আমেরিকা মিত্র হিসাবে কোনও অবস্থাতেই ভারতকে হারাতে চাইবে না। অতএব চাবাহার নিয়ে ভারতকে আমেরিকা তাদের অবরোধের মুখে পড়তে হবে বলে যে হুমকি ধামকিই দিক না কেন শেষ পর্যন্ত ফলাফল হবে দেখেও দেখেনি, অর্থাৎ ভারতের বিরুদ্ধে কোনও অবরোধ নয়।

এবার ভারত বাংলাদেশ সর্ম্পক। ভারতের লোকসভা নির্বাচন শেষ। এখানে উল্লেখযোগ্য এবং সবচেয়ে লক্ষ্যণীয় বিষয় হল ভারতীয় জনসংখ্যার প্রায় ১৫% মুসলিম থেকে বি জে পি তাদের দল থেকে একজন মুসলমানকেও প্রার্থী করেনি। এ থেকে দলটির একটি চরম সাম্প্রদায়িক মানসিকতার পরিচয় আরো প্রকট হয়ে উঠেছে। এমন এক প্রেক্ষাপটে ৯ জুন ২০২৪ শ্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদি তৃতীয়বারের মত ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছেন। তবে এবার বি জে পি একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়নি। বিহারের নীতিশ কুমার আর অন্ধ্রের চন্দ্র বাবু নাইডুর সমর্থন নিয়ে এন ডি এ’র জোট সরকার। ভারতে নির্বাচন চলাকালীন ভারতীয় পররাষ্ট্র সচীব তড়িঘড়ি ঢাকা সফর করে গেছেন। সফরের সময় থেকে এটা ধরে নেওয়া যায় সফরটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় পররাষ্ট্র সচীব আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র সচীবের সাথে বৈঠক করেছেন। এসব বৈঠক নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম বিশেষ করে ভারতীয় গণমাধ্যমে যেসব খবর বেরিয়েছে তাতে দেখা যায় তিনটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচীব ঢাকায় আলোচনা করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশচীনের প্রথমবারের মত যৌথ সামরিক মহড়া, চীনের কাছ থেকে বাংলাদেশের ৫ বিলিয়ন ডলার সফট লোন গ্রহণের বিষয় এবং তিস্তা প্রকল্পে চীনের বিনিয়োগ প্রস্তাব প্রসঙ্গ। কূটনৈতিক ভাষ্যকারদের অভিমত এ তিনটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে, ভারতের কাছে প্রতীয়মান, এ থেকে চীন বাংলাদেশে তার অধিকতর প্রভাব বলয় বিস্তারে উদ্যোগী হয়েছে। ভারতচীন বিদ্যমান সর্ম্পকের আলোকে চীনের এই উদ্যোগকে ভারত তার জন্য সুখকর বলে মনে করে না। বিষয়টি হয়ত ভারতীয় পররাষ্ট্র সচীব তার বর্ণিত এই সফরে ঢাকাকে অবগত করেছেন।

বিষয়টি যদি সত্যি হয় তবে ভারতীয় স্বার্থের পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বার্থের দিক থেকেও বিবেচনা করলে তিনটি বিষয়ই বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে তিস্তা নদীর কথা আমরা যদি বিবেচনায় নিই তবে এটি বাংলাদেশভারতের মাঝে দীর্ঘদিন একটি অমিমাংসিত বিষয় হিসাবে দু দেশের সর্ম্পকের মাঝে কাঁটা হয়ে আছে। বাংলাদেশ ভাটির দেশ। তিস্তা সিকিম থেকে ক্রমশ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ভারত উজানের দেশ হয়ে তিস্তার উৎসমুখ থেকে শুরু করে বাংলাদেশে প্রবেশ পর্যন্ত প্রায় ১৬(ষোল) টির মত বাঁধ নির্মাণ করেছে। এসব বাঁধের মধ্যে বিশেষ করে গাজলডোবা বাঁধের মাধ্যমে ভারত তিস্তার স্বাভাবিক পানি প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে চলেছে। ফলশ্রুতিতে বর্ষা মৌসূমে ঐ সমস্ত বাঁধের মুখ খুলে দিলে বাংলাদেশে তিস্তার দুকূল প্লাবিত হয় আর শুস্কু মৌসুমে বাঁধের মুখ বন্ধ রাখার ফলে চাষবাসের জন্য কোনও পানিই পাওয়া যায় না। বিষয়টি এমন হয়েছে যেন ‘বন্যায় ভাসাব খরায় পোড়াব’। ইতিপূর্বে ভারতের সাথে তিস্তা নিয়ে যতগুলি বৈঠক হয়েছে প্রত্যেকটিতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের অসম্মতির দোহাই দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। অথচ নির্মম পরিহাস হল তিস্তায় নির্মিত প্রতিটি প্রকল্পই কেন্দ্রীয় সরকারের।

এখন তিস্তায় চীনের প্রস্তাব, তিস্তা নদীর গড় প্রসস্থতা বর্তমানের তিন কিঃ মিঃ থেকে শূন্য দশমিক ৮১৬ মিটারে হ্রাস করা হবে। এর ফলে নদী গর্ভের ১৭১ বর্গ কিঃমিঃ ভূমি পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে, এ ভূমি নগরায়ন, সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন, কৃষি উন্নয়ন, পর্যটন এবং জনবসতি স্থাপন করার জন্য ব্যবহার করা যাবে। নদীর গভীরতা খননের মাধ্যমে বর্তমানের ৫ মিটার থেকে ১০ মিটারে উন্নীত করা হবে। এছাড়াও জলাধার র্নিমাণের মাধ্যমে মৎস্য চাষ এবং শুস্কু মৌসুমে নদীর পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আমার মতে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান দীর্ঘদিনের একটি সমস্যার সমাধান হবে। কিন্ত্তু এ প্রকল্পে চীনের সংশ্লিষ্টতা ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ, কৌশলগতভাবে এটি ভারতের শিলগুড়ি কড়িডোর সন্নিহিত। এই শিলগুড়ি কড়িডোরের মাধ্যমে ভারত তার পূর্বাঞ্চলের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলে। শিলগুড়ি কড়িডোরের ঐ পারের নেপালের সাথেও ভারতের সর্ম্পক তেমন একটা বন্ধুত্বপূর্ণ নয়। এদিকে পূর্ব্বাঞ্চলের সাথে নতুন যোগাযোগ কলকাতা সিটওয়েপ্লাটোয়া তথা কালাদান মাল্টি মোডাল মাল্টি ট্রানজিট প্রজেক্টও আরাকান আর্মির কারণে হুমকির মুখে। এসব বিবেচনায় ভারতের জন্য চীনের তিস্তায় ধংসযজ্ঞ পরিচালনা উদ্বেগেরই, তাই বলে তিস্তা সমস্যা ঝুলিয়ে রেখে বাংলাদেশের জীব বৈচিত্রকে হুমকিতে ফেলা, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলকে লবণাক্ততার দিকে ঠেলে দেওয়া, প্রয়োজনে পানি না দেওয়া, অপ্রয়োজনে পানিতে ভাসিয়ে মারা এটাও সৎ প্রতিবেশী সুলভ নয়। এতে দুই বন্ধু ভাবাপন্ন দেশের সম্পর্কে কোনও ইতিবাচক নয় বরং নেতিবাচক প্রভাবই পড়ছে। সফট লোন বাংলাদেশ নিতেই পারে কারণ এ লোন বাংলাদেশকেই চীনকে পরিশোধ করতে হবে অন্যকোনও দেশকে নয়। সামরিক যৌথ মহড়া। চীনের সুবিখ্যাত সমরবিদ সান জু’র একটি উদ্বৃতি দিয়ে এ লেখাটি শেষ করব ” If you know the enemy and know yourself, you need not fear the result of battles. If you know yourself but not the enemy, for every victory gained you will also suffer a defeat. If you know neither the enemy not yourself, you will succumb in every battle . তুমি যদি তোমাকে জান অর্থাৎ তোমার সামর্থ দুর্বলতা এবং তোমার শত্রুরও সামর্থ দুর্বলতা, তা হলে যুদ্ধের ফলাফল নিয়ে তোমার ভয়ের কোনও কারণ নেই, তুমি যদি শুধু তোমাকে জান কিন্ত্তু প্রতিপক্ষকে না জান তবে তুমি প্রতিটি জয়ের পর একটি পরাজয়ের শংকায় থাকবে, আর তুমি যদি তোমার দুর্বলতা এবং সামর্থ এবং প্রতিপক্ষের কারোর কিছুই না জান, তবে প্রতিটি যুদ্ধেই তুমি নিশ্চিহ্ন হবে। এই শিক্ষা আর বোধ থেকে বাংলাদেশকে নিজের দুর্বলতা আর সামর্থ সম্পর্কে যেমন জানতে হবে তেমনি অন্যদেরও।

লেখক: প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট; সামরিক এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশ হতে দেশান্তরে
পরবর্তী নিবন্ধবেতনে লিঙ্গবৈষম্য, মামলা অ্যাপলের বিরুদ্ধে