প্রতিবেশী দেশ ভারতের রাজস্থান থেকে বেনাপোল হয়ে রাজশাহী। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে এক ব্যাপারি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যার টেক সিডিএ আবাসিক মাঠের গরুর বাজারে নিয়ে এলেন রাজস্থানের ‘কাঙ্খারা’ জাতের বিশাল দেহের গরুটি। সাদা–কালো ও অনেকটা ধূসর বর্ণের তিন ফিট লম্বা শিংয়ের গরুটি আকৃষ্ট করছে ক্রেতাদের। ছোট মুখমণ্ডলের এ জাতের গরুর শিং থাকে অনেক লম্বা ও মোটা। আকর্ষণীয় ও নজর কাড়া শিংয়ের কারণে পবিত্র কুরবানে অনেক বিত্তশালী ব্যক্তি গরুটি কেনার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
প্রায় তিন ফিট লম্বা ও মোটা শিংয়ের অধিকারী ‘কাঙ্খারা’ জাতের এ গরুর শরীরের উচ্চতা ৫ ফিট এবং লম্বা প্রায় ৭ ফিট। বাংলাদেশে দুষ্প্রাপ্য এ জাতের গরুগুলো সবধরনের ক্রেতাদের নজর কাড়লেও অনেকটা সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। সৌখিন ও বিত্তশালীরাই এসব জাতের গরুর অন্যতম ক্রেতা বলে জানা যায়। মইজ্জ্যার টেক সিডিএ আবাসিক মাঠে ‘কাঙ্খারা’ জাতের এ গরুটি দেখতে প্রতিদিন উৎসুক জনতা ভিড় করছে।
রাজশাহীর গোদাগারি এলাকার এ গরুর ব্যাপারি মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান জানান, গরুটি দেখতে অনেক সুন্দর ও আকর্ষণীয়। এক বছর আগে ছোট অবস্থায় সীমান্তের বেনাপোল এলাকা থেকে ৫ লাখ টাকা দাম দিয়ে কিনেছিলাম। এক বছর ধরে গরুটি লালন–পালন করে আসছি। বর্তমানে বিক্রির উদ্দেশ্যে এবং কর্ণফুলীর মইজ্জ্যার টেক সিডিএ আবাসিক মাঠে সুদূর রাজশাহী থেকে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসলাম। প্রায় ১২ মন ওজনের এ গরুর দাম হাঁকানো হয়েছে ১৩ লাখ টাকা। তবে সাড়ে আট, নয় লাখ টাকা হলেই তিনি ছেড়ে দেবেন বলে জানান। এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছে বলে দাবি তার। তিনি আরো জানান, এ গরুটি ছাড়াও আমরা রাজশাহী থেকে আরো ৫/৬ ট্রাক ভর্তি প্রায় ১০০টি গরু এনেছি। আশা করছি মইজ্জ্যার টেক বাজারে সব গরু যথাসময়ে বিক্রি হয়ে যাবে।