কক্সবাজারে যুবককে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা, হামলাকারীদের গ্রেপ্তার দাবি

কক্সবাজার প্রতিনিধি | বুধবার , ১২ জুন, ২০২৪ at ১২:৪৮ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারে মাসুদ করিম (৩৮) নামের এক যুবককে কিরিচ দিয়ে গলা কেটে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। মাসুদ করিম কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের উত্তর হাজিপাড়ার আশরাফ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় মাসুদ করিমের বড় ভাই মো. আবুল হাসনাত বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

আসামিরা হলেন, উত্তর হাজিপাড়ার গ্রামের মৃত নবাব মিয়ার দুই ছেলে রশিদ মিয়া (৪২) ও কামরুল হাসান মুসা (২৬), মৃত নুরুল ইসলামের তিন ছেলে মোহাম্মদ জুনাইদ (২৭), মো. শাকিব (২৩) ও শোয়েব মোহাম্মদ ওরফে আকাশ (৩০) এবং একই এলাকার মৃত এজাহার মিয়ার ছেলে হামিদ মিয়া (২৮)।

গত রোববার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মাসুদ করিমকে হত্যা চেষ্টাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্বজনেরা।

এতে মাসুদ করিমের স্ত্রী সামিরা জালাল সাবা বলেন, আমার স্বামী নিরহ মানুষ। কখনো কারো সাথে ঝগড়া করেনি। ব্যবসার পাশাপাশি এলাকার অসহায় মানুষের পক্ষে কথা বলে। তাই আমার স্বামীকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করেছে ভাইস চেয়ারম্যান রশিদ মিয়া। আমার স্বামীকে হত্যা করে লাশ ৩ টুকরো করে বস্তায় ভরার নির্দেশ দিয়েছে ভাইসচেয়ারম্যান রশিদ মিয়া। এই পরিবার খুনি পরিবার। তাদের পরিবারে একের পর এক হত্যা করে পার পেয়ে গেছে। তাই আমার স্বামীকেও দিন দুপুরে হত্যার চেষ্টা করেছে। আমি রশিদ মিয়াসহ হামলাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী করছি।

মাসুদ করিমের বড় ভাই আবুল হাসনাত বলেন, জনপ্রতিনিধির ক্ষমতা দেখিয়ে আমার ছোট ভাইকে প্রাণে মেরে ফেলতে চেষ্টা করেছে ভাইস চেয়ারম্যান রশিদ মিয়া। গত গত ৩ জুন পৈত্তিক সম্পত্তি দেখার জন্য হাজিপাড়া শফিউল আলমের বাড়ি পর্যন্ত গেলে উৎপেতে থাকা অস্ত্রশস্ত্র একদল সন্ত্রাসী মাসুদ করিমের উপর হামলে পড়ে। এক পর্যায়ে ওই হামলাকারীদের উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রশিদ মিয়া মোবাইল ফোনে লাউড স্পিকারে হত্যা করে তিন টুকরো করে বস্তায় ভর বলে নির্দেশনা দেন। ওই সময় কামরুল হাসান মুসা, মোহাম্মদ জুনায়েদ প্রকাশ মিন্টু, মোঃ শাকিব, শোয়েব মোহাম্মদ আকাশ প্রকাশ বাচাইয়া ও হামিদ মিয়া মাসুদ করিমকে উপর্যপূরী কোপাতে থাকে। তাদের আঘাতে মাটিতে লুটে পড়লে মাসুদ করিমকে জবাই করে ফেলে দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে হামলাকারীরা।

মানববন্ধনে আহত মাসুদ করিমের তিন সন্তানও প্লেকার্ডে বিভিন্ন দাবী তুলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআনোয়ারায় অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজার মডেল হাই স্কুল : প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোটি টাকা দুর্নীতির তদন্ত শুরু