৪০ পাহাড়ি পরিবার পেল মাচাং ঘর

রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে আশ্রয়ণের ঘর পেল আরও ১,৫৪০ পরিবার

রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | বুধবার , ১২ জুন, ২০২৪ at ৭:৫১ পূর্বাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ২ প্রকল্পের অধীনে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির আরও ১,৫৪০টি গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে বসতঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একযোগে পঞ্চম ধাপের দ্বিতীয় পর্যায়ে উপহারের ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, সর্বশেষ ধাপে রাঙামাটির আরও ৬৮০টি পরিবার উপহারের বসতঘর পেলেন। তবে এবার রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার তিন ইউনিয়নে পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী ৪০টি মাচাং ঘর দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সকালে রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে আশ্রয়ণ২ প্রকল্পের বরাদ্দকৃত বসতঘর হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান। এ সময় তার সঙ্গে রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, লংগদু ইউএনও সাইফুল ইসলামসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জেলার নয় উপজেলায় সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউএনও ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আশ্রয়ণের ঘর হস্তান্তর করেছেন।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ২ প্রকল্পের অধীনে পঞ্চম ধাপের দ্বিতীয় পর্যায়ে রাঙামাটির নয় উপজেলায় ৬৮০টি বসতঘর হস্তান্তর করা হয়। এরমধ্যে রাঙামাটি সদর উপজেলায় চারটি, কাপ্তাই উপজেলায় ৪০টি, কাউখালী উপজেলায় ১৩টি, রাজস্থলী উপজেলায় ২৫টি, বরকল উপজেলায় ৩৫টি, বিলাইছড়ি উপজেলায় ১১টি, বাঘাইছড়ি উপজেলায় ৪২২টি, লংগদু উপজেলায় ১২৬টি এবং নানিয়ারচরে চারটিসহ মোট ৬৮০টি হস্তান্তর করা হয়। তবে শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদে পানিস্বল্পতার কারণে জুরাছড়ি উপজেলায় বরাদ্দকৃত বসতঘর তৈরি করা যায়নি। জেলা প্রশাসনের হিসাবে পঞ্চম ধাপের দ্বিতীয় পর্যায় পযন্ত রাঙামাটির দশ উপজেলায় ২ হাজার ৯৩২টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। জেলায় অবশিষ্ট ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা আরও ৯৬টি।

এদিকে খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, জেলার ৯ উপজেলায় আরো ৮৬০টি গৃহ ও ভূমিহীন পরিবার সরকারি ঘর ও ভূমি পেয়েছে। গতকাল সকালে উপকারভোগীদের মাঝে ঘরের চাবি ও সনদ হস্তান্তর করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান। দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলার ৮৬০ পরিবারকে চাবি ও সনদ প্রদান করা হয়। নতুন ঘর পেয়ে খুশি গৃহহীনরা।

জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, পঞ্চম পর্যায়ের ২য় ধাপে খাগড়াছড়ি সদরে ২৮টি, মহালছড়িতে ১১৯টি, দীঘিনালায় ২০০টি, পানছড়িতে ৬৫টি, রামগড়ে ৮১টি, গুইমারায় ১২৫টি, মাটিরাঙ্গায় ৬৫টি, মানিকছড়িতে ১০০টি এবং লক্ষ্মীছড়িতে ৭৭টি ঘর প্রদান করা হয়। এসব ঘরে বাসিন্দাদের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন কাজ করছে। জেলায় এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৫৪৯টি পরিবারকে সরকারি ঘর প্রদান করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকোরবানির পশু হিসেবে চাহিদা বাড়ছে গয়ালের
পরবর্তী নিবন্ধজমিসহ ঘর পেয়ে বদলে গেছে তৃতীয় লিঙ্গের মনিষার জীবন