জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম রেলপথে মাদক চোরাচালান রোধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে এবং নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে মসলার বাজার অস্থিতিশীল হতে পারে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বাজার মনিটরিং করার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।
গতকাল রোববার নগরীর সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সড়কে যেন উল্টোপথে গাড়ি চলাচল না করে এবং মূল রাস্তা দখল করে যাতে যানবাহন না রাখা হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া মহাসড়কের এক কিলোমিটারের মধ্যে যেন কোরবানির পশুর হাট না বসে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া ফটিকছড়িতে পাহাড়ে কৃষক অপহরণের বিষয়ে প্রয়োজনে যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করা হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম গোলাম মোর্শেদ, সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এনএসআইয়ের যুগ্ম পরিচালক, বিআরটিএ প্রতিনিধি, কোস্টগার্ড প্রতিনিধি, বিজিবি প্রতিনিধি ও জেলা পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা।
সভায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি বলেন, কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম রেলপথে মাদক চালান প্রতিরোধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
বিআরটিএ প্রতিনিধি বলেন, সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের প্রতিনিধি বলেন, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে মসলার বাজারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিসিসিআইসির প্রতিনিধি বলেন, কিছু কিছু ব্যবসায়ী আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে বাজার অস্থিতিশীল করতে পারে। তাই সকল ব্যবসায়ীকে সতর্ক করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা হচ্ছে এবং নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। আসন্ন ঈদে ফাঁকা বাসায় নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার না রেখে আত্মীয়–স্বজনের বাসায় রেখে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, উল্টোপথে সিএনজি টেক্সি চলার কারণে যানজট ও ভোগান্তি হয়।
সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, ট্রেনে পাথর মারা বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার–চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।