বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারায় বজ্রপাতে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা মোসকান নামে তার আড়াই বছর বয়সী শিশু গুরুতর আহত হলেও প্রাণে রক্ষা পায়। তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্র জানায়।
গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনা ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হতভাগ্য গৃহবধূর নাম পারভিন আক্তার (৩৫)। তিনি পূর্ব বড়ঘোনার আলীচাঁন বাড়ির রিকশাচালক আকবর হোসেনের স্ত্রী। তাদের সংসারে তিন ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র মতে, শনিবার সকালে আকাশ কালো মেঘে ঢাকা ছিল। এসময় বৃষ্টি নাহলেও হঠাৎ কয়েকটি স্থানে থেমে থেমে বজ্রপাত হয়। পারভিন আক্তার রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার পথে হঠাৎ বজ্রপাতের কবলে পড়লে তার শরীর ঝলসে যায় ও ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করে। এসময় তার সঙ্গে থাকা শিশু সন্তান মোসকান কিছুটা আহত হয়।
নিহতের ভাই আব্দুল খালেক বলেন, শনিবার সকালে একটি এনজিও সংস্থার কিস্তি (ঋণ) পরিশোধের জন্য বাড়ি থেকে বের হয় পারভিন। মাত্র এক মিনিট দূরত্বের পথে গিয়েই বজ্রপাতে সে মারা যায়। বজ্রপাতটি প্রথমে ইউকেলিপ্টাস গাছের উপর পড়ে। তারপর সেখান থেকে আমার বোনের মাথার উপর পড়লে পুরো শরীর ঝলসে যায়। ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে চাম্বলস্থ একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খালেক বলেন, তার বোনের নামাজে জানাজা গতকাল বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।