বিশ্বকাপের আগে একেবারেই ছন্নছাড়া বাংলাদেশ। তাই প্রথম ম্যাচটা যখন খেলতে নামছিল তখন পাহাড়সম চাপ টাইগারদের উপর। তার উপর ম্যাচটা শ্রীলংকার বিপক্ষে।
যে দেলটির সাথে বাংলাদেশের ম্যাচ মানে যে অন্য লড়াই। তবে শেষ পর্যন্ত সব চাপ সরিয়ে দারুন স্বস্তির এক জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করল বাংলাদেশ। শ্রীলংকাকে ২ উইকেটে হারিয়ে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এই জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিল বোলাররা।
মোস্তাফিজ, রিশাদ, তাসকিনরা দারুন বল করে লংকানদের মাত্র ১২৪ রানে বেধে ফেলেছিল। আর সে রান তাড়া করতে নেমে মাঝে মাঝে পথ হারালেও শেষ পর্যন্ত কাঙ্খিত জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। যে জয়টা খুব বেশি দরকার ছিল বাংলাদেশের জন্য।
কারণ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হারের পর ভারতের কাছেও হার। তার উপর দলের ব্যাটাররা নেই ফর্মে। চারদিকে সমালোচনার তীর ছুটছে। শেষ পর্যন্ত একটি জয় কিছুটা হলেও সে চাপ সরাতে পেরেছে টাইগাররা।
ডালাসে টসে জিতে শ্রীলংকাকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। ২১ রানে প্রথম আঘাত হানেন তাসকিন। ফেরান ১০ রান করা কুশল মেন্ডিসকে। এরপর মোস্তাফিজের আঘাতে ফিরেন কামিন্দু মেন্ডিস। তৃতীয় উইকেটে এগুনোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন নিশাংকা এবং ধনঞ্জয়া। এবারো মোস্তাফিজের আঘাত। এবার তার শিকার নিশাংকা।
২৮ বলে ৪৭ রান করে ফিরেন এই ওপেনার। এরপর ধনঞ্জায়া এবং আশালাংকা ৩০ রান যোগ করেন। এজুটি ভাঙ্গেন রিশাদ হোসেন। সে ওভারে হাসারাঙ্গাকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিযে তুলেছিলেন। কিন্তু হয়নি। পরের ওভারে আবার রিশাদের আঘাত। এবার তার শিকার ২১ রান করা ধনঞ্জয়া। ১০০ রানে ৪ উইকেট হারানো শ্রীলংকা পরের ৬ উইকেট হারায় মাত্র ২৫ রানে। মোস্তাফিজ, তাসকিন, তানজিম সাকিবদের তোপের মুখে পড়ে ১২৪ রানে অল আউট হয় শ্রীলংকা। বাংলাদেশের তাসকিন এবং নিশাদ নেন ৩টি করে উইকেট। ২টি নিেেছন তাসকিন।
জবাবে বাট করতে নামা বাংলাদেশ প্রথম ওভারেই হারায় সৌম্য সরকারকে। ব্যর্থতার বলয় ছেড়ে বের হতে পারছেণনা এই ওপেনার। রানের খাতা খোল হয়নি তার। দ্বিতীয় ওভারে ফিরেন তানজিদ তামিম। ২৮ রানের পৌছাতে নেই অধিনায়ক শান্ত। তিনজনের কেউই দুই অংক স্পর্শ করতে পারেনি। এরপর হাল ধরেন হৃদয় এবং লিটন। দারুন জুটি গড়ে দলকে জয়ের দিকেই নিয়ে যাচ্ছিলেন দুজন। হাসারঙ্গার করা ১২ ওভারে পরপর তিন বলে তিন ছক্কা মেরে পরের বলে ফিরলেণ হৃদয়।
২০ বলে ৪০ রান করে ফিরেন হৃদয়। ভাঙ্গে ৬৩ রানের ইনিংস। কে জানতো এরপর আবার ম্যাচ লাগাম ছাড়া হয়ে যাবে বাংলাদেশের কাছ থেকে। ৮ রান পর ফিরেন লিটন দাশ। ফিরে আসার আগে ৩৮ বলে ৩৬ রান করেন এই ওপেনার। এরপরও ভালই চলছিল বাংলাদেশের রথ। কিন্তু পাথিরানার বলে ফিরেন সাকিব। বিপদের দিকে এগুয় বাংলাদেশ। এরপর থুসারারর পরপর দুই বলে রিশাদ এবং তাসকিন ফিরলে হারের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। তবে সেটা আর হতে দেননি মাহমুদ উল্লাহ। এক ওভার হাতে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন মাহমুদ উল্লাহ। ১৩ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।