চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রীর ঘোষিত ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত এই বাজেট নজির বিহীন লুটপাট ও কল্পনার অবাস্তবায়নযোগ্য গণবিরোধী বাজেট। এই বাজেটে দেশের চরম অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণের কোনো দিকনির্দেশনা নেই। সাধারণ ও গরিব মানুষের জন্য কোনো সুখবর নেই। এটি বাস্তবতা বিবর্জিত, প্রতারণামূলক, লোক দেখানো বাজেট। বাজেটে সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও অর্থ পাচার প্রতিরোধে কোনো দিকনির্দেশনা নেই। ক্ষমতার বলয়ের বাইরে সাধারণ মানুষের অনুকূলে এই বাজেট কোনো ভূমিকা রাখবে না। ভোটার বিহীন দুর্নীতিবাজ সরকারের এই বাজেটে জনগণের সর্বস্ব লুটের পাকা বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এটা বর্তমান সরকারের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার লুটের লক্ষ্যে প্রণীত অর্থ লুটেরাদের বাজেট। এটা একটা অসম বাজেট। আড়াই লাখ কোটি টাকার এত বড় ঘাটতি বাজেট দিয়ে স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব নয়। যেসব খাত থেকে বাজেট পূরণ করার কথা বলা হচ্ছে, সেটা চ্যালেঞ্জিং। এই বাজেট মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য। গতকাল বৃহস্পতিবার ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি ও দেশি বিদেশি ঋণের দেনা পরিশোধের চাপে এ বাজেট আর্থিক সংকট, ঋণ নির্ভর ও ঘাটতিসহ বহুমুখী চ্যালেঞ্জের বাজেট। ৭ লাখ ৯৭ কোটি টাকার এই বাজেটে রাজস্ব ও অন্যান্য খাত থেকে মোট আয় ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি ২ লক্ষ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হচ্ছে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ঋণ এক লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। অনুদান চার হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এর বাইরে মূল সমস্যা হচ্ছে আইএমএফ কর্তৃক ঋণ প্রাপ্তির বিভিন্নমুখী চাপ এবং বিভিন্ন দেশি বিদেশি দেনা পরিশোধের চাপ। তিনি বলেন, ঋণ ও ঘাটতিভিত্তিক বড় বাজেট অতীতে বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি আগামীতেও সম্ভব হবে না। একটি অনির্বাচিত সরকারের উপর করদাতারা আস্থা রাখে না, যার ফলে নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহ প্রয়োজনীয় কর আদায় করতে পারে না। যথেষ্ট রাজস্ব আদায় না হওয়ার কারণে এ বছরের বাজেট হবে আরও বেশি ঋণ ও ঘাটতি নির্ভর।