ব্যাংকে জমা ৫০ লাখ টাকার বেশি হলে আবগাড়ির শুল্ক বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে আগামী অর্থবছরের বাজেটে। তবে জমা টাকার পরিমাণ এর চেয়ে নিচে হলে আবগারি শুল্কহার একই থাকবে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করে এই প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। খবর বিডিনিউজের। এখন এক লাখ টাকার নিচে ব্যাংকে টাকা রাখালে আবগাড়ি শুল্ক দিতে হয় না। এক লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা হলে হিসেবে ১৫০ টাকা কেটে নেওয়া হয় বছরে একবার। বছরের কোনো এক সময়ে ব্যাংক হিসাবে এক লাখ টাকা জমা হলেই এই শুল্ক কেটে নেওয়া হয়। জমা ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার মধ্যে থাকলে শুল্ক কাটা হয় ৫০০ টাকা।
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবে এ তিন স্তরে কোনো পরিবর্তন না এনে সংসদে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক হিসাবের স্ল্যাবসমূহ এবং আবগারি শুল্কের পরিমাণ যৌক্তিকীকরণের প্রস্তাব করছি। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, আমানত ১০ লাখ এক টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত আবগাড়ি শুল্ক তিন হাজার টাকা। ৫০ লাখ এক টাকা থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত শুল্ক ৫ হাজার টাকা। এক কোটি এক টাকা থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত শুল্ক ১০ হাজার টাকা। দুই কোটি এক টাকা থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত শুল্ক ২০ হাজার টাকা। কারও ব্যাংক হিসাব বছরে একবার ৫ কোটি টাকার ঘর অতিক্রম করলে সেই আমানতের ওপর শুল্ক হবে ৫০ হাজার টাকা। এখন এই স্তরে ৪০ হাজার টাকা দিতে হয়। বৈদেশিক মুদ্রায় পরিচালিত অফশোর ব্যাংকিংয়ে আমানতকারী বা বৈদেশিক ঋণদাতাগণের হিসাবের ওপর আবগারি শুল্ক অব্যাহতির প্রস্তাব করেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী।