শিল্পনগরী চট্টগ্রাম : স্বপ্ন ও বাস্তবতা

নেছার আহমদ | মঙ্গলবার , ৪ জুন, ২০২৪ at ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বিশেষ করে সার্বিক শিল্পোন্নয়নে চট্টগ্রামের গুরুত্ব অপরিসীম। সুপ্রাচীন কাল থেকে চট্টগ্রাম এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে এবং তারও আগে ব্রিটিশ ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চট্টগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। সমুদ্র বন্দরের কারণে চট্টগ্রামকে বলা হতো ্তুএধঃবধিু ড়ভ ঃযব বধংঃ্থ মূলত ষোড়শ ও সপ্তদশ শতাব্দীতে ইউরোপীয় বাণিজ্যতন্ত্রের স্বর্ণযুগে চট্টগ্রাম ব্যবসা বাণিজ্যের আন্তর্জাতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে।

ভৌগলিক ও অবকাঠামোগত সুবিধার কারণে ব্রিটিশ আমলে আসামবেঙ্গল রেলওয়ের সদর দপ্তর চট্টগ্রামে স্থাপিত হয়। সে সময়ে বহু বৃহৎ শিল্প কারখানা যেমনইস্পাত, মোটরগাড়ি, পাট, বস্ত্র, সুতা, তামাক, ম্যাচ, ঔষধ, ভোজ্য তেল, তৈল শোধনাগার ইত্যাদি শিল্প চট্টগ্রামে গড়ে উঠে।

বাংলাদেশের প্রধান সামুদ্রিক বন্দর চট্টগ্রামে হওয়ার সুবাধে চট্টগ্রাম দেশের অর্থনীতির লাইফ লাইনের প্রধান ধারক হওয়াই ছিল স্বাভাবিক। সে হিসেবে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড, ফৌজদারহাট, নাসিরাবাদ, কালুরঘাট সহ বিস্তৃত অঞ্চল শিল্প এলাকা হিসেবে পরিচিতি পায়। পরবর্তীতে কর্ণফুলী, আনোয়ারা, ইছানগর, জুলধা, বোয়ালখালী, প্রভৃতি অঞ্চলে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। প্রকৃত অর্থে চট্টগ্রাম শিল্প নগরী হিসেবে তার সমুজ্জ্বল সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র তৈরি করে দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নের ভূমিকা রেখেছে সর্বদা। রাজনীতিবিদ ও নগর পরিকল্পনাবিদরা চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী, শিল্প নগরী, বন্দর নগরী, অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু প্রভৃতি নানাবিদ অলংকারে ভূষিত করেছে। এতে আমরা চট্টগ্রামবাসি পুলকিত হই । কিন্তু প্রায়শ ঐতিহাসিক ও প্রকৃতি নির্দিষ্ট এই ভূমিকা পালনে রাজনীতিআমলাতান্ত্রিক সৃষ্ঠ বাধা বার বার পথ আগলে দাঁড়িয়েছে। একটি নব্য ঊপনিবেশিক ধাঁচের আমলাতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার এমন কেন্দ্রীয়করণের বিষময় ফল হিসেবে উন্নয়ন প্রয়াসের ঢাকাকেন্দ্রিকতা চট্টগ্রামকে বিমাতাসূলভ বৈষম্যের শিকারে পরিণত করেছে। স্বাভাবিকভাবে চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক গতি প্রকৃতিকে অনেকে ক্রমমফস্বলকরণ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং সমস্যার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে রাষ্ট্রীয় নীতি প্রণেতাদের বৈরিতাকেই চিহ্নিত করেছেন।

দেশের প্রধানতম বন্দর নগরী হওয়ার সুবাদে চট্টগ্রাম দেশের বৃহত্তম শিল্পাঞ্চল হিসেবেও গড়ে উঠেছে। রপ্তানী নির্ভর শিল্পায়নকে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান কৌশল হিসেবে গুরুত্ব প্রদানের ফলে চট্টগ্রামের এতদসম্পর্কীয় ভূমিকার গুরুত্বও দিন দিন বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিল।

গার্মেন্টস শিল্প, চিংড়ি ও অন্যান্য সামুদ্রিক মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, রাসায়নিক সার শিল্প, বিশেষায়িত বস্ত্র শিল্প প্রভৃতি ক্ষেত্রে চট্টগ্রামের তুলনামূলক সুবিধে প্রশ্নাতীত। এসব বিষয়ে লক্ষ্য রেখে বাংলাদেশের প্রথম প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প (ইপিজেড) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল চট্টগ্রামে। দেশের বৃহত্তম অর্থনৈতিক অঞ্চল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরী মীরসরাইয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কোরিয়ান ইপিজেড, বৃহৎ সারখানা প্রভৃতি উৎপাদনে রয়েছে। জাইকা, চায়না অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠান প্রস্তাবনায় রয়েছে।

এছাড়াও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে সামাজিক ও আবহাওয়া এবং পরিবেশ অনুযায়ী ছোট বড় অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে শিল্প নগরী চট্টগ্রামের অবস্থান এবং চট্টগ্রামে বিনিয়োগকারীদের ত্রাহী অবস্থা দেখলে বুঝা যায় চট্টগ্রাম কতটুকু নিপীড়িত ও ষড়যন্ত্রের শিকার।

সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সমূহের প্রজ্ঞাপনে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, ‘তাদের ইচ্ছে চট্টগ্রামে কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে না উঠুক। চট্টগ্রামে উদ্যোক্তারা যাতে বিনিয়োগ না করে সে দিকে লক্ষ্য রেখে শিল্পায়নে চট্টগ্রামকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের প্রচলিত শিল্পাঞ্চলগুলোতে অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে আবেদনকৃত শিল্প সমূহে গ্যাস সংযোগ দেয়ার অনুমোদন দেয়া হচ্ছে না। ফলে বিনিয়োগকৃত মূলধন হারিয়ে অনেকে দিশেহারা। স্থাপিত শিল্পসমূহকেও নানা রকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে হয়রানি করা হচ্ছে। আমলাতান্ত্রিক প্রতিবন্ধকতার কারণে বিনিয়োগকারীদের মাঝে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। চট্টগ্রামকে নিয়ে ষড়যন্ত্র নতুন কিছু নয়। অনেক আমলাদের ভাষায় বলতে হয়, ‘চট্টগ্রামের শিল্পায়ন দেখলে তাদের হিংসে হয়’। সত্যিকার অর্থে তাদের প্রতিহিংসার বলি আজ চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও চট্টগ্রামের শিল্পায়ন।

চট্টগ্রামের শিল্পায়নে বাধা সৃষ্টির উদ্দেশ্য শিল্প সমূহে গ্যাস সংযোগ প্রক্রিয়া এক প্রকার বন্ধ বললেই চলে। বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা নিত্যবিষয়। চট্টগ্রামের উন্নয়নে বাধা প্রদানের ক্ষেত্রে যে সব কর্মকর্তা যতবেশি দক্ষতা দেখিয়েছে তাকেই তত বেশি পুরস্কৃত করা হয়েছে।

বর্তমানে জ্বালানি তেল সংকটে চট্টগ্রামের প্রায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন শোচনীয় পর্যায়ে। চট্টগ্রামের ২৯টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে এই মুহূর্তে উৎপাদনের শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে মাতারবাড়ি ও বাঁশখালী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র। তেল ও গ্যাস নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর বেশিরভাগই এখন খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চট্টগ্রামের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা জ্বালানী মন্ত্রণালয়। চট্টগ্রামের প্রতি বিমাতাসূলভ আচরণ প্রায়শঃ লক্ষ্যণীয়। চট্টগ্রামের উন্নয়ন তাদের জন্য হিংসের কারণ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা গেছে শিল্প নগরী চট্টগ্রামে সর্বমোট যে পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ করা হয় তার কয়েকগুণ বেশি গ্যাস ব্যবহার হয় শুধুমাত্র ঢাকার গাজীপুর এলাকায়। অথচ এক সময় বলা হয়েছিল চট্টগ্রামের শিল্পায়নের জন্য শুধুমাত্র এলএনজি আমদানি করা হয়েছে যা এক প্রকার আইওয়াশ ছাড়া অন্য কিছুই নয়।

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক বঞ্চনা ইস্যু হিসেবে সব সময় সামনের কাতারে আসলেও চট্টগ্রাম হতে কোন রাজনীতিবিদ বা ব্যবসায়িক প্রতিনিধিত্বকারী চেম্বার বা আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। এক সময় চট্টগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু, .বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ন্যায় নেতারা এবিষয়ে সোচ্চার থাকলেও বর্তমান সময়ে এবিষয়ে সকলের নীরব ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের সংগঠন চেম্বারের ভূমিকাও তেমন নেই বললেই চলে।

চট্টগ্রামের গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন সেবার উদ্দেশ্যে গড়ে উঠা কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিঃ এর পরিচালনা পর্ষদে চট্টগ্রামের কোন রাজনৈতিক বা ব্যবসায়িক প্রতিনিধিত্ব নেই। পরিচালনা পর্ষদে যারাই রয়েছেন তাঁদের চট্টগ্রামের উন্নয়ন বিরোধী ভূমিকা লক্ষ্যণীয়। পশ্চিমারা পূর্ব বাংলাকে যেভাবে শোষণ শাসন এবং নিপীড়ন করেছে ঠিক তেমনি ঢাকাতে বসে চট্টগ্রামের উপর কীভাবে নির্যাতন, নীপিড়ন ও শোষণ করা যায় সে সব কাজই নিত্য কেজিডিসিএল পরিচালনা পর্ষদ করে যাচ্ছে। কেজিডিসিএল এর পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত ও মন্তব্যগুলো পর্যালোচনা করলে বুঝা যায় চট্টগ্রাম যেন স্বাধীন দেশে ও পরাধীন।

রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ‘চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক ও সম্ভাবনা সংক্রান্ত আলোচনা ও বিশ্লেষণ শিল্পায়নে প্রতিবন্ধকতা, স্বীকৃতি শিল্প এলাকা সমূহে শিল্প স্থাপনে অসহযোগিতা উপযুক্ত অনুসিদ্ধান্তের আলোকেই বিবেচিত হওয়া উচিত। ইস্যুগুলো প্রামাণ্য হয়ে দাঁড়ায় ঢাকার সাথে চট্টগ্রামের তুলনা করলে। নীতিপ্রণেতাদের বৈষম্যমূলক দৃষ্টির কারণে এসব ইস্যু সৃষ্টি হচ্ছে বলেই সমাধানও আসতে হবে চট্টগ্রাম বিদ্বেষী দৃষ্টিভঙ্গির আশু পরিবর্তনের মাধ্যমে। চট্টগ্রামকে শিল্পনগরী বা বাণিজ্যিক রাজধানীর মর্যাদা প্রদানের ঘোষণা যদি প্রতারণামূলক না হয়, তাহলে আর দেরি না করে এবিষয়ে দ্রুত সমাধান জরুরি। অন্যথা আঞ্চলিক বৈষম্যের ইস্যুটি বিপজ্জনক পর্যায়ে উপনীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রামকে নিয়ে আরেকটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যা কোনওভাবেই হালকা দৃষ্টিতে নেওয়ার সুযোগ নেই। সাম্প্রাজ্যবাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কোনও ভানভণিতা, ঘোরপ্যাঁচের আশ্রয় না নিয়ে সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের একটি অংশ নিয়ে পূর্ব তিমুরের মতো খ্রিষ্টান দেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে। তিনি এটাও বলেছেন, বাংলাদেশে এয়ার বেইস বানানোর জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে একটি স্বাধীন খ্রিষ্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নতুন কিছু নয়। শেখ হাসিনার সাহসিক নেতৃত্বে সে সব উদ্যোগ ও ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে। সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলা হঠাৎ করে অশান্ত হয়ে উঠেছে। সশস্ত্র তৎপরতা ও সহিংসতার জন্য কে এন এফ দৃশ্যমান শক্তি হলেও এর পেছনে রয়েছে সুগভীর বিদেশি ষড়যন্ত্র। ভূরাজনীতি, ভূঅর্থনীতি, ভূকৌশলগত কারণে এই অঞ্চল পশ্চিমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খ্রিষ্টান রাষ্ট্র সৃষ্টির মাধ্যমে পূর্ব ও দক্ষিণ, পূর্ব এশিয়ায় সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো প্রতিরক্ষা বলয় সৃষ্টি করতে চায়। ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মিলনস্থলের কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরের এমন এক স্থানে বাংলাদেশের অবস্থান যার পাশ দিয়েই রয়েছে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলের চ্যানেল। অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক বিবেচনায় দারুণ সম্ভাবনাময় ভূকৌশলগত অবস্থান বাংলাদেশের। এই অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের জন্য সেন্টমাার্টিন কিংবা হাতিয়া কিংবা বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারের কিছু অঞ্চল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীনকে প্রতিহত করতে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী গোষ্ঠীকে সহায়তার লক্ষ্যে সম্প্রতি ‘বার্মা এ্যাক্ট’ প্রণয়ন করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকলে সেন্টমার্টিন কিংবা হাতিয়া পশ্চিমাদের হস্তগত হওয়া সুদৃঢ় পরাহত। বড় শক্তিগুলোর আধিপাত্য বিস্তারের লড়াইয়ে খুঁটি হিসেবে পার্বত্য অঞ্চলে একটি অনুগত খ্রিষ্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা পশ্চিমাদের জন্য গুরুত্ববাহী ভূরাজনীতির এমন এক সমীকরণে নতুন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

খ্রিষ্টান মিশনারী পশ্চিমা দাতাগোষ্ঠী ও এনজিও চক্র পার্বত্য চট্টগ্রামকে টার্গেট করে পরিকল্পনা করে সামনে এগোচ্ছে। যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মাঝে প্রকাশ পেয়েছে। পরিস্থিতি এভাবে অব্যাহত থাকলে গোটা পার্বত্য অঞ্চল রাজনৈতিকভাবে বিপজ্জনক হয়ে উঠার সম্ভাবনা রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আঞ্চলিক, জাতি ও আন্তর্জাতিক ঘটনা প্রবাহ এ কথারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ এবং চট্টগ্রাম বিদ্বেষী আমলাতান্ত্রিক ষড়যন্ত্র। চট্টগ্রামের প্রতি বিমাতা সূলভ আচরণ সকল প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি বিবেচনায় নিয়ে চট্টগ্রামের শিল্পায়ন ও উন্নয়ন নিয়ে নতুনভাবে চিন্তা করার সময় এসেছে। চট্টগ্রামের প্রতি প্রতিবন্ধকতা এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র একই সূত্রে গাথা কিনা এখনই ভেবে দেখা প্রয়োজন।

লেখক: প্রাবন্ধিক, সম্পাদকশিল্পশৈলী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদোষটা আসলে কার
পরবর্তী নিবন্ধড. বদরুল হুদা খান ও তাঁর ‘স্মার্ট শিক্ষায় স্মার্ট বাংলাদেশ’