এক সময় ভিখারী দেখলে মায়া হতো। টাকা পয়সা কাপড় চোপড় বিভিন্ন কিছু দেওয়ার জন্য মন চাইতো। কারণ মানুষ জন্ম থেকে ভিখারী হয় না। প্রত্যেকে যার যার মান সম্মান নিয়ে বাঁচতে চায়। চলমান জীবনে কিছু ঘটনা দুর্ঘটনার কারণে বা আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে মানুষ নিরুপায় হয়ে ভিক্ষা করতে শুরু করে। কেউ কখনো চায় না ভিক্ষা করে হাত পেতে জীবন যাপন করতে। আমাদের সমাজে ভিক্ষাবৃত্তি ভালো চোখে দেখে না। এতে অনেক কথা শুনতে হয়। ভিক্ষা করতে এরা বিভিন্ন অভিনব কায়দা বেছে নেয়। আবার কেউ কেউ বিনা কষ্টে প্রচুর উপার্জন বিধায় এই লাইনে চলে আসে। নিজেকে অচল, রোগা, খোরা, অন্ধ সেজে অনাসায়ে ভিক্ষা করে। গ্রাম থেকে শহরে এখন ভিখারীর সংখ্যা বেশি। ভিখারীদের বহু রূপ দেখা যায়। রাস্তায় বসে হেঁটে হেঁটে আবার পরিচ্ছন্ন কাপড় চোপড় পরে। শুনেছি এদের আবার সমিতিও আছে। তাতে কার্যকরি পরিষদ আছে। সমিতিভুক্ত ভিখারীদের সমিতিতে চাঁদা দিতে হয় নিয়মিত। যদি কোনও ভিখারী অসুস্থ হয়, দুর্ঘটনা বা বিপদে কবলিত হয় তাহলে নাকি সমিতি সহযোগিতা করে। খবরের কাগজে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তা জানা যায়। যারা এই ভিখারীদের লিডার তাদের বড় বড় বিল্ডিং দামি গাড়ি আছে তা পত্র পত্রিকায় বহুবার পড়েছি। ঐ লিডারদের ছেলে মেয়েরা দেশে নামি দামি স্কুলে এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে লেখা পড়া করে। লিডারদের আলিশান চলাফেরা এবং দেশের প্রথম শ্রেণির নাগরিকদের সাথে উঠা বসা। শুনেছি বড় বড় সভা মিছিলে লিডাররা অর্থের বিনিময়ে তাদের (ভিখারী) সাপ্লাই করে থাকে। আমাদের দেশে সবই হতে পারে! আশ্চর্য হওয়ার কিছুই নেই, ভিখারীদের বিভিন্ন বেশভূষা জালিয়াতি জন সম্মুখে অহরহ দেখা যাচ্ছে বা প্রকাশ পাচ্ছে প্রযুক্তির মাধ্যমে। তাই দানশীল ব্যক্তি বা জনগণের মনে এক ধরণের ভিখারীদের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এতে করে দান দিতে মন চায় না অনেকের। কারণ আসল নকল বুঝা বড়ই দায়। আমাদের দেশে সব কিছুতে অভিনব ছলচাতুরী চলে, ফলে একে অন্যের প্রতি সন্দেহ সব সময় থেকেই যায়