টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুইবারের চ্যাম্পিয়ন তারা। এবারের আসরের সহ–আয়োজকও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাই এবারের আসরে অনেকেই ফেবারিট মানছে ক্যারিবীয়দের। তার উপর বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইট ওয়াশ করে দারুণ প্রস্তুতি সেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তার ছবিটাও দেখা গেল। যদিও পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ম্যাচটি জিততে ৫ উইকেট হারাতে হয়েছে স্বাগতিকদের। তারপরও একেবারেই প্রত্যাশিত ৫ উইকেটের জয় নিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বল হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা বেশ নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছিল। যে কারণে পাপুয়া নিউগিনি বড় স্কোর গড়তে পারেনি। বোলাররা নাগালের মধ্যে রাখা স্কোরটাকে সহজেই পাড়ি দিয়ে দিল ব্যাটাররা। বিশেষ করে রোস্টন চেইসের ব্যাটে চড়ে দারুন এক জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবারের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আইসিসির সহযোগী সদস্য দল গুলো বড় দল গুলোর জন্য মাথাব্যাথার কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। যদিও গতকাল পাপুয়া নিউগিনি তেমন বেশি পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। কিন্তু ৫ উইকেট ঠিকই তুলে নিয়েছে। তবে দারুন পেশাদারিত্ব দেখিয়ে ম্যাচটা জিতে দারুন শুরু করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টসে হেরে ব্যাট করতে নামা পাপুয়া নিউগিনি ৭ রানে হারায় ২ উইকেট। তৃতীয় উইকেটে আসাদ এবং সিসে মিলে ২৭ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি। ২১ রান করে ফিরেন আসাদ। তবে দলকে টানার চেষ্টা করেন সিসে বাও। কিন্তু অপরপ্রান্তে তেমন কাউকে সঙ্গী হিসেবে পাচ্ছিলেন না। শেষদিকে কিপলিন ডরিগা খানিকটা চেষ্টা করলেও বাকিরা পারেননি। তবে সিসে বাও তার হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। তিনি ফিরেন ৪৩ রানে ৫০ রান করে। মুলত তারই ব্যাটে চড়ে ১৩৬ রান জড়ো করে পাপুয়া নিউগিনি। শেষ দিকে চার্লস আমিনি ১২, কিপলিন ডরিগা ১৮ বলে ২৭ এবং চাদ সপার ৯ বলে করেন ১০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল এবং আলজারি জোসেফ।
১৩৭ রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই জনসন চার্লসকে হারায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় উইকেটে ব্রেন্ডন কিং এবং নিকোলাস পুরান মিলে যোগ করেন ৫৩ রান। পরপর দুই ওভারে মাত্র ২ রানের ব্যবধানে ফিনে দুজনই। কিং ২৯ বলে ৩৪ এবং পুরান ২৭ বলে করেন ২৭ রান। এরপর রোস্টন চেইস টানেন দলকে। অপরপ্রান্তে রভম্যান পাওয়েল ১৫ এবং রাদারফোর্ড ফিরেন ২ রান করে। তবে চেইসের সাথে আন্দ্রে রাসেল যোগ দিয়ে খেলা শেষ করে আসেন। চেউস ২৭ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন। আর রাসেল অপরাজিত ছিলেন ৯ বলে ১৫ রান করে। ৬ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাপুয়া নিউগিনির পক্ষে ২টি উইকেট নিয়েছেন আসাদ।