৭ম দফা ভোট গ্রহণের মধ্যে দিয়ে গতকাল সম্পন্ন হয়েছে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। আগামী মঙ্গলবার ভোট গণনা শেষে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করবে দেশটির নির্বাচন কমিশন। গতকাল ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই বিভিন্ন মিডিয়া হাউসের পক্ষ থেকে বুথফেরত জরিপের সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়। এ জরিপগুলোতে আভাস দেয়া হয়েছে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ের পথে রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ; যারা ৩৫০টি আসন পেতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৫৪৩ আসনের লোকসভানির্বাচনের পর জরিপে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসসহ বিজেপিবিরোধী দলগুলোর জোট ‘ইন্ডিয়া’। জোটটি ১৪২টি আসন পেতে পারে। চারটি সংস্থার কেন্দ্রফেরত জরিপ সমন্বয় করে ভোটের ফলাফলের এমন আভাস দিয়েছে এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া। নির্বাচনে এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয় পেতে প্রয়োজন ২৭২ আসন; যেখানে ভোট দিয়ে আসা ভোটারদের জরিপভিত্তিক তথ্যেবিজেপির টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় থাকার ইঙ্গিত মিলছে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপি জোট পেয়েছিল ৩৫২ আসন। জরিপের আভাস ঠিক থাকলে তৃতীয়বারের মতো সরকার গড়তে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। আর প্রকৃত চিত্র ভিন্ন হলে বিজেপির রাজত্ব শেষে কী কারা আসছে ক্ষমতায় সেটিও দেখার বিষয়।
আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, বুথফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত যে সব সময় মেলে, এমন নয়। বুথফেরত সমীক্ষা একেবারে ভুল প্রমাণিত হওয়ার উদাহরণও অসংখ্য। বুথফেরত সমীক্ষার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়েও অনেক প্রশ্ন রয়েছে। তবে বুথফেরত সমীক্ষার পূর্বাভাস মিলে যাওয়ার উদাহরণও রয়েছে। ভোট পণ্ডিতদের একাংশ মনে করেন, এই ধরনের সমীক্ষায় মোটের উপর ভোটারের মনের একটি আভাস পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে ঘটনাচক্রে, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের মতোই এ বারেও সব বুথফেরত সমীক্ষাই বলছে, সরকার গড়তে চলেছে এনডিএ।
এদিকে দেড় দশক পর এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গের কোনও বড় ভোটে দ্বিতীয় স্থানে নেমে যেতে পারে তৃণমূল– এমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে বিভিন্ন বুথফেরত সমীক্ষা। অধিকাংশ সমীক্ষারই ইঙ্গিত, লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের লড়াইয়ে তৃণমূলকে ছাপিয়ে যেতে চলেছে বিজেপি। এবিপি–সি ভোটারের বুথফেরত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, বাংলার ৪২টি লোকসভার মধ্যে বিজেপি পেতে পারে ২৩–২৭টি আসন। তৃণমূলের হতে পারে ১৩–১৭টি আসন। গতবার তারা পেয়েছিল ২২টি। বাম–কংগ্রেসের জোট পেতে পারে ১–৩টি আসন।