চট্টগ্রাম নগরীর ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার লকার থেকে দেড়শ ভরি স্বর্ণালংকার গায়েবের অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে কানের দুল, হাতের চুড়ি, গলা ও কানের জড়োয়া সেট, গলার সেট, গলার চেইন ও আংটি রয়েছে। অভিযোগকারী হচ্ছেন নগরীর চট্টেশ্বরী রোডের বিটিআই বেভারলী হিলসের বাসিন্দা রোকেয়া বারী। তিনি গত ২৯ মে কিছু সোনার জন্য ব্যাংকে যান। গিয়ে লকার খোলা পান। অভিযোগকারী রোকেয়া বারীর ভাষ্য, প্রায় এক মাস পর তিনি ব্যাংকে গেছেন। লকার খুলতে গিয়ে তিনি দেখতে পান, লকার আগে থেকে খোলা পড়ে আছে। এ ঘটনায় ব্যাংকের লোকজন জড়িত বলে ধারণা তার। তিনি জানান, তার লকারে প্রায় ১৬০ ভরি সোনা ছিল। সেখান থেকে ১৫০ ভরির মতন গায়েব হয়েছে। বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিক চকবাজার থানার ওসিকে জানালে ওসি দ্রুত ঘটনাস্থলে যান।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালি উদ্দিন আজাদীকে বলেন, ব্যাংকে গিয়ে নিজের লকার খোলা পেয়েছেন একজন নারী। তিনি তাৎক্ষণিক বিষয়টি অবহিত করলে আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং তার সাথে কথা বলি। তিনি এক মাস পর ব্যাংকে গিয়ে লকার খুলেছেন। লকার খুলতে গিয়ে তিনি দেখেন লকার আগে থেকেই খোলা। তিনি বলছেন, লকার থেকে তার দেড়শ ভরি সোনা গায়েব হয়েছে। আমরা ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। কর্মকর্তারা বলছেন, কিভাবে কী হয়েছে তারা কিছুই জানেন না। অভিযোগকারী নিজে লকার খোলা রেখেছেন নাকি অন্য কেউ লকার ভেঙে সোনা গায়েব করেছে তা তারা জানেন না।
ওসি বলেন, অভিযোগকারীকে বলেছি মামলা দায়ের করতে। এখন পর্যন্ত মামলা করতে তিনি আসেননি। যদি মামলা দায়ের করেন আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ বিষয়ে রোকেয়া বারীর ছেলে মো. রিয়াদ আজাদীকে বলেন, থানায় গিয়ে আমরা একটা জিডি করতে চেয়েছিলাম। ওসি মামলা করতে বলেছেন। আমরা আমাদের আইনজীবীর সাথে কথা বলেছি। সম্ভবত আমরা আদালতে মামলা করব। তিনি বলেন, ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন, তারা এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করবেন। ঢাকা থেকে সিনিয়ররা আসবেন। বিষয়টি তারা দেখছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে গতকাল রাতে ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (চট্টগ্রাম দক্ষিণ জোন) এস এম শফিকুল মাওলা চৌধুরীকে ফোন করা হয়। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি।