শত কোটি বছরের শহরে ক্রমাগত কমছে
বেঁচে থাকার বোধদয়ের আয়ু,
কান পাতলেই যেখানে শোনা যায় মৃত্যুর শব্দ।
সকলে যেনো, সুচিন্তার অধিকারকে বধ করে
মনের দ্রোহের ডাককে রুদ্ধ দ্বারে আটকে রেখে
চরম দুর্যোগে চোখে পড়ে ঠুলি,
দেয় কানে তালা, ডানা মুড়ে রাখা পাখির ন্যায়।
তাইতো ভোরের ভিতর আসে বিকেল,
রাতকে উপেক্ষা করে ফিরে আসে পুনরায় ভোর।
সৌর্যদীপ্ত সমস্ত চিন্তা এক পাশে রেখে
নীরবতাকে হাঁটতে দেখি নগরীর পথে পথে,
নগরীর রাজপথে নৈরাজ্যের চিহ্ন এঁকে দিয়ে
রক্তজোঁক পাপিষ্ঠরা তাণ্ডব চালায় ঘুমন্ত শহরে,
তবুও দেখি না দ্বিরুক্তি, চাপা অন্ধকারে তলিয়ে যায়
ক্রোধ, ভালোবাসা, সহমর্মিতা।
ঘুমন্ত শহরে যেনো এক একটা মৃতের দেহ
অপরের শবকে জড়ায়ে আতঙ্কিত হিমে করে বসবাস
এ যেনো শতাব্দীর আবিষ্ট নিয়মে বেঁধে রাখা
জীর্ণশীর্ণ এক বিকেল,
সূর্য ডোবার সাথে যেমন রাত অন্ধকারে ছেয়ে যায়
তেমনই, মরীচিকাময় চক্রতলে নিত্য আত্মহুতি দেয়
স্বর্গের সন্ধানে মোহগ্রস্ত ঘুমন্ত শহর।