উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে কম–বেশি ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে ধারণা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এ ধাপে দেশের ৮৭ উপজেলায় ভোট হয়েছে গতকাল বুধবার। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। বেশ কিছু উপজেলায় ভোট কারচুপি নিয়ে প্রার্থীদের অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ ও বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে বিকাল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে শুরু হয় গণনা। খবর বিডিনিউজের।
ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে ভোটের সার্বিক অবস্থা নিয়ে বিকালে সাংবাদিকদের উদ্দেশে কথা বলেন সিইসি আউয়াল। ভোটের পরিবেশকে ‘শান্তিপূর্ণ’ হিসেবে বর্ণনা করে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। ‘আজকের (বুধবার) নির্বাচন সন্তোষজনক হয়েছে। উপস্থিতির যে তথ্য পেয়েছি, সেটা ৩৫ শতাংশের কমও হতে পারে, বেশিও হতে পারে। সঠিক তথ্য পেতে আরও সময় (আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত) লাগবে। খুবই সীমিত পরিসরে কয়েকটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে মন্তব্য করে সিইসি বলেন, ভোট কারচুপি ও অনিয়মের চেষ্টায় জড়িত ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
‘অপ্রীতিকর’ ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় ছয়জন আহত হয়েছেন। বান্দরবানের নানিয়ার চরে একটি কেন্দ্রে ইউপিডিএফ সদস্যরা গণ্ডগোল করার চেষ্টা করেছিল, তা প্রতিহত করা হয়েছে। একজন প্রিজাইডিং অফিসার অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন।
ভোটের পরিবেশ ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও অখুশি নন সিইসি আউয়াল। তার ভাষায়, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচন মোটামুটি হয়েছে। প্রশাসন, পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক তৎপর ছিল। দুই–চারটি অনভিপ্রেত ঘটনা ছাড়া যথেষ্ট শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে।
তৃতীয় ধাপে ৮৭টি উপজেলা পরিষদের মধ্যে ১৬টিতে ইভিএমে এবং অন্যগুলোতে ব্যালটে ভোট নেওয়া হয়। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট হয় ৮ মে, যেখানে ভোটের হার প্রায় ৩৬ শতাংশ। দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ২১ মে ভোট পড়ে প্রায় ৩৮ শতাংশ।
দেশের মোট ৪৯৫ উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলা পরিষদে চার ধাপে ভোট হচ্ছে এবার। আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের ভোটের মধ্যে দিয়ে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আয়োজন শেষে হবে।