ইঞ্জিন ও লোকোমাস্টার সংকটে কক্সবাজার–চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী বিশেষ ট্রেনটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আগামীকাল ৩০ মে থেকে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে চলাচলরত একমাত্র স্পেশাল ট্রেনটি বন্ধ রাখতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপকের ডিআরএম) বরাবরে চিঠি দিয়েছে রেলওয়ের যান্ত্রিক বিভাগ। ফলে আজ বুধবার শেষবারের মতো চলবে ট্রেনটি। ডিআরএম বরাবরে চিঠিতে আগামীকাল ৩০ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ট্রেনটি বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (এসিওপিএস) কামাল আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রেলওয়ের মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে কঙবাজার স্পেশাল–৩ ও ৪ ট্রেনটি আগামী ১০ জুন পর্যন্ত চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যান্ত্রিক বিভাগ থেকে ইঞ্জিন ও লোকোমাস্টারের সংকট থাকার কথা জানানো হয়েছে। এ জন্য কঙবাজার বিশেষ ট্রেন বুধবার (আজ) পর্যন্ত চলবে। আগামীকাল ৩০ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বাতিল করা হলো।
এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, কঙবাজার স্পেশাল ট্রেনটি ৩০ মে থেকে বন্ধ রাখার জন্য আমাকে বলা হয়েছে। ২৯ মে (আজ বুধবার) চলবে, আগামীকাল থেকে বন্ধ থাকবে। এই ব্যাপারে আমার কাছে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। ইঞ্জিন ও লোকোমাস্টারের সংকটের কারণে ট্রেনটি বন্ধ রাখার চিঠি পেয়েছি।
চট্টগ্রাম–কঙবাজার রুটের বিশেষ ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন সকাল ৭টায় ছাড়ে। কঙবাজারে পৌঁছায় সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। আবার কঙবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছাড়ে সন্ধ্যা ৭টায়। চট্টগ্রামে পৌঁছায় রাত ১০টায়। যাত্রাপথে ট্রেনটি ষোলশহর, জানালীহাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা ও রামু স্টেশনে থামে এবং যাত্রী পরিবহন করে। মোট ১০টি বগিতে আসন রয়েছে ৪৩৮টি। বিশেষ ট্রেনে শোভন শ্রেণির আসনের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ৪৫ টাকা, প্রথম শ্রেণির আসনের জন্য ১৮৫ টাকা। তবে কঙবাজার পর্যন্ত এই ভাড়া যথাক্রমে ১৮৫ ও ৩৪০ টাকা।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে গত ৮ এপ্রিল থেকে চট্টগ্রাম–কঙবাজার রুটের বিশেষ ট্রেনটি চালু করেছিল কর্তৃপক্ষ। যাত্রী চাহিদা ও স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে ট্রেনটি চালু রাখার সময়সীমা ৩০ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছিল। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পরিবহন ও যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগ থেকে জানা গেছে, বর্তমানে পূর্বাঞ্চলে প্রতিদিন ১১৬টি ইঞ্জিনের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ১০০টি ইঞ্জিনও সচল নেই। কোন রকমে জোড়া তালি দিয়ে চলছে। তার সাথে যুক্ত হয়েছে লোকোমাস্টার (এলএম), সহকারী লোকোমাস্টার (এএলএম) সংকট।