আমাদের অসচেতনতার জন্য পরিবেশ হুমকির মুখে আছে। প্রতিনিয়ত পরিবেশ দূষিত হয় এমন কর্মকাণ্ড বেড়েই চলছে।
আধুনিক নগর সভ্যতা মানবজীবনে অনেক অগ্রগতি এনেছে এ কথা সত্য, কিন্তু এ সভ্যতা আজ মানুষের হৃদয়বৃত্তির ওপর এমনভাবে চেপে বসেছে যে, মানুষ হয়ে পড়ছে ক্রমেই হৃদয়হীন নিষ্ঠুর। এ সভ্যতা মানুষকে করে তুলেছে উচ্চাভিলাষী, আত্মকেন্দ্রিক ও স্বার্থান্বেষী। মানুষের জীবন থেকে মানবিকতাবোধের অবসান ঘটছে। মানুষ হয়ে উঠছে অনেক বেশি যান্ত্রিক। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার প্রধান উপকরণ বৃক্ষরাজি, বনাঞ্চল ধ্বংসের মহোৎসব চলছে সর্বত্র। সে হারে বনায়ন হচ্ছে না। বৃক্ষরোপণকে উৎসাহিত করতে আমরা বিভিন্ন দেশের উদাহরণ অনুসরণ করতে পারি। যেমন, ২০১৯ সালের ১৫ মে ফিলিপাইনে একটি আইন প্রণীত হয়। এ আইনে কোনো শিক্ষার্থীকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাশ করতে হলে কমপক্ষে ১০টি গাছ লাগাতে হবে। তবে এ গাছ লাগাতে হবে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে। বাংলাদেশেও অনুরূপ আইন প্রণয়ন করা উচিত। আমাদের অক্সিজেন ভাণ্ডার সুন্দরবনে বৃক্ষরাজি আজ পুড়ে ছাঁই হয়ে যাচ্ছে! এজন্য কেউ না কেউ অবশ্যই দায়ী। বিশাল এ ক্ষতিপুরণ মিটানো কি সম্ভব! দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আসতেই হবে। কবি গুরুর উপলব্ধিতেই শেষ নিবেদন, ‘দাও ফিরে সে অরণ্যে লও এ নগর’।