চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের সন্তোষপুর ইউনিয়নে ভাসুরের ছেলের ছুরিকাঘাতে এক গৃহবধূ মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। বিবি জুলেখা (২৫) নামে এ গৃহবধু দুই সন্তানের জননী। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মো. ফরহাদ (১৮) আহত জুলেখারই আপন ভাসুরের ছেলে। অভিযুক্ত ফরহাদকে গতকাল রবিবার বিকালে সন্দ্বীপের গাছুয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আটক করে সন্দ্বীপ থানা পুলিশের একটি টিম।
জানা যায়, গতকাল সকাল সাড়ে ১১টায় সন্দ্বীপের সন্তোষপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নুর মিয়া পাটোয়ারী বাড়িতে ছুরিকাঘাতের এই ঘটনা ঘটে। জুলেখার স্বামী রিপন মিয়া সৌদি আরব প্রবাসী। বিবি জুলেখার ঘরে ঢুকে তার গলায় ধারালো ছুরি দিয়ে পোঁচ দেয় বলে পারিবারিক ও চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে। তবে এই ঘটনার কারণ জানাতে পারেননি জুলেখার শ্বশুর ও পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনার পর সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সন্তোষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় পুলিশ অভিযুক্ত ফরহাদের পিতা বেলাল মিয়াকে (৪২) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। সন্তোষপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন জাফর ঘটনার কারণ সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত কিছু জানা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন।
চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন জাফর জানান, পারিবারিক বিরোধের ইতিহাস নেই। তবে অভিযুক্ত ফরহাদ তার চাচী জুলেখাকে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করতো বলে একটি সূত্র জানা গেছে। এলাকাবাসীর কাছ থেকেও পারিবারিক কোনো দ্বন্দ্বের বিষয় জানা যায়নি।
সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ফখরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ভিকটিমের গলার সামনের দিকের মাঝামাঝি ধারালো অস্ত্রের গভীর ক্ষত রয়েছে। বেশ কিছু রক্তনালী কাটা পড়লেও বড় রক্তনালী আংশিক কাটা পড়ায় তিনি বেঁচে গেছেন। ২ ব্যাগ রক্ত দেয়ার পর আপাতত ঝুঁকিমুক্ত করা হলেও উন্নত সেবার জন্য রোগীকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন আজাদীকে জানান, অভিযুক্তকে ফরহাদকে বিকালে সন্দ্বীপের গাছুয়া থেকে আটক করা হয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্রটি উদ্ধারের জন্য ফরহাদকে নিয়ে অভিযানে আছে পুলিশ। ফরহাদকে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে দিয়ে ঘটনার কারণ জানা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি। আহত জুলেখার মা থানায় আছেন এবং মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।