বিজ্ঞান দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ। ‘বিজ্ঞান মানুষের জন্য আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ’ এমন বিতর্ক থেকে এখনো বেরিয়ে আসতে পারিনি। তবে বিশ্ববাসী সম্ভবত সেই বাস্তবতা কখনো অস্বীকার করেনি যে, কোনো দুর্বৃত্তের হাতে যে ছুরি প্রাণঘাতী, সেই একই ছুরি শল্যবিদের হাতে নতুন জীবনের আশ্বাস। গতকাল শুক্রবার দৃষ্টি চট্টগ্রামের আয়োজনে আন্তঃহাউজ বিজ্ঞান বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এই প্রতিযোগিতায় দৃষ্টি স্কুল অব ডিবেটের ৮টি দলের ২৪ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে, যারা চট্টগ্রমের ২০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন চবি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক প্রাক্তন বিতার্কিক ড. আদনান মান্নান। দৃষ্টির সভাপতি সাইফ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই আয়োজনে আরো বক্তব্য দেন, দৃষ্টির প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ বকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্না মজুমদার ও বিতর্ক সম্পাদক হোসাইন সামি ও দৃষ্টি সদস্য ইতু দত্ত। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ড. আদনান মান্নান বলেন, দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও বেকারত্ব দূর করতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে দেশের উন্নয়ন তরান্নিত্ব হবে।
মাসুদ বকুল বলেন, বিতর্ক প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে জ্ঞানের পরিধি বিশাল হয়। এজন্য অবশ্যই বেশি বেশি জানতে হবে, পড়তে হবে। হাতের কাছে যা–ই পাওয়া যাবে সেটাই পড়তে হবে। বেশি বেশি না পড়লে ভালো বিতার্কিক হওয়া সম্ভব নয়। সভাপতির বক্তব্য সাইফ চৌধুরী বলেন, বিতর্ক জ্ঞান চর্চার অনুষ্ঠান। বিজ্ঞান বিতর্ক শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞানের প্রতি গবেষণাধর্মী, উদ্ভাবনী ও যুক্তিবাদী মানসিকতা গড়ে তোলে। উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি বিনির্মাণে বিজ্ঞানের বিকল্প নেই। উদ্বোধনের পর প্রথম দিনে ৪টি বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।