ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবুল হক চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
জানা যায়, গত ১৪ মে এক প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা সভায় বক্তব্যের সময় জনপ্রতিনিধিদের প্রভাবিত করে বক্তব্য প্রদান করায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ১৮(ক) বিধি লংঘন করার বিষয়টি নির্বাচন কমিশন এর দৃষ্টি গোচর হয়।
একই বিধিমালার বিধি ৩২ এর ১ উপবিধি অনুসারে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না জানতে চেয়ে ১৭ মে (গতকাল) জবাব প্রদানের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। মজিবুল হক চৌধুরী গতকাল সশরীরে গিয়ে তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন এবং ভবিষ্যতে এমন বক্তব্য দিবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন বলে জানিয়েছে ইউএনও।
এদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর দুই কর্মীকে জরিমানা করা হয়। গত বৃহস্পতিবার ফটিকছড়ি উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়ন এলাকায় উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের দ্বারা নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকল্পে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর পক্ষে মিনি ট্রাক ও মাইক্রোবাস সহযোগে শোডাউন বের করা এবং দুপুর ২টার পূর্বে মাইক বাজিয়ে প্রচারণা করার অপরাধে মো. জাহের বিন সাব্বির ও মো. মিনহাজ নামে দুই ব্যক্তিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
অর্থদণ্ড তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়। এ ব্যাপারে ইউএনও মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে।