এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের উত্তর পাশে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বিভাগীয় কার্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মান্নানের নামে বরাদ্দ দেওয়া টেকওয়ে রেস্টুরেন্টের বরাদ্দ বাতিল করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। গত কয় বছর ধরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সাথে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলে আসছিল। স্টেডিয়ামটি প্রথমে কেজিএন, পরে আল আরাশি এবং বর্তমানে কুটুমবাড়ি নামে চলছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বরাদ্দ পত্রের শর্ত ভঙ্গ করায় তাদের বরাদ্দ বাতিল করা হয়। ইতোমধ্যে রেস্টুরেন্টের মালিক পারভেজ মান্নানকে চিঠি দিয়ে বরাদ্দ বাতিলের বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সালের ২২ মে এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মান্নানের নামে স্টেডিয়ামের উত্তর পাশের ৭৭৫ বর্গফুট জায়গা ২০১০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারী অস্থায়ী টেকওয়ে রেস্টুরেন্ট করার জন্য বরাদ্দ দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। কিন্তু বরাদ্দ পত্রের শর্ত সমুহ ভঙ্গ করায় এই বরাদ্দ বাতিল করে এনএসসি। চিঠিতে বলা হয়েছে রেস্টুরেন্টের জন্য ৭৭৫ বর্গফুট বরাদ্দ দেওয়া হলেও রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ ২৬০০ বর্গফুট দখল করে রেখেছে। রেস্টুরেন্টের পাশে থাকা ১১৬০ বর্গফুট খালি জায়গা বিনা অনুমতিতে রেস্টুরেন্টের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। যা জেলা প্রশাসনের মেজিস্ট্রেট গত ২৪ আগস্ট ২০২৩ সালে উচ্ছেদ করলেও সে অংশটি খালি করা হয়নি। বরাদ্দপত্রের শর্ত ৭ অনুযায়ী প্রতি মাসের ৭ তারিখ জায়গার ভাড়া পরিশোধের কথা থাকলেও জুন ২০২৩ থেকে অদ্যাবধি ভাড়া বকেয়া রয়ে গেছে যে কারনে পরিষদ ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে।
বরাদ্দ পত্রের ৮ নং শর্ত অনুযায়ী রেস্টুরেন্ট সাবলেট দেওয়ার অনুমতি না থাকলেও বরাদ্দ প্রাপ্ত ব্যক্তি কুটুমবাড়ি নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে সাবলেট দিয়ে শর্ত ভঙ্গ করেছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বিভাগীয় কার্যালয়ের গেই সংলগ্ন খালি জায়গাটি খেলাধুলার প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ সে জায়গাটি বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করে আসছে। যা পরিষদের কাছে দৃশ্যমান। চিটিতে জানানো হয়েছে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলেও তারা সন্তোসজনক জবাব দিতে পারেনি। তাই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তাদের ক্ষতি, সুনাম হানি হওয়া, খেলাধুলার প্রশিক্ষণের জন্য জায়গাটি উম্মুক্ত করার স্বার্থে রেস্টুরেন্টটির বরাদ্দ বাতিল করে। নোটিশ জারির এক মাসের মধ্যে নিজ খরচে সকল অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিয়ে জায়গাটি খালি করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকে বিষয়টি চট্টগ্রাম ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা্র সাধারণ সম্পাদক সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করা হয়েছে। যদিও জেলা ক্রীড়া সংস্থার একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন এ বিষয়ে আসলে তাদের করার কিছু নেই। যেহেতু বরাদ্দ দিয়েছে এনএসসি আবার বাতিল করেছে এনএসসি। কাজেই এটা তাদের বিষয়।