সিসিটিভি ফুটেজ এবং হ্যালো সিএমপি অ্যাপের ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ সেবার সহায়তায় মুখে হাসি ফুটল বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী মোহাম্মদ ফাতির ইশরাক আরিয়ানের। ভুলে টেক্সিতে এই শিক্ষার্থী টাকাসহ ট্রলিব্যাগ ফেলে যাওয়ার পর আকবর শাহ্ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এর ২৪ ঘণ্টা পর পুলিশ টেক্সিচালক ও মালিককে খুঁজে বের করে শিক্ষার্থীর হারানো ব্যাগটি উদ্ধার করে।
জানা যায়, গত শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ফাতির ইশরাক আরিয়ান নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শেষে বাসযোগে পাহাড়তলীর অলংকার মোড়ে এসে পৌঁছান। অলংকার মোড় থেকে টেঙিযোগে খুলশীর লেক ভিউ আবাসিক এলাকায় আত্মীয়ের বাসায় বিশ্রাম নেন। বিশ্রাম নেওয়ার পর খুলশী কনভেনশন সেন্টারের সামনে থেকে অপর এক টেঙি করে ঝাউতলায় আত্মীয়ের বাসায় যান। সেখান থেকে পুনরায় ওই টেক্সি নিয়ে রাত ৮টায় আকবরশাহ্ থানাধীন তোতন হাউজিংয়ে এসে নেমে যান। টেক্সি থেকে নামার কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি বুঝতে পারেন নগদ ১২ হাজার টাকা, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র সমেত ট্রালব্যাগটি টেক্সির পেছনেই ফেলে এসেছেন। সাথে সাথে তিনি এ বিষয়ে আকবর শাহ্ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এই ঘটনায় আকবরশাহ্ থানার পুলিশ একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে টেক্সির নম্বর শনাক্ত করেন। তারপর হ্যালো সিএমপি অ্যাপের আমার গাড়ি নিরাপদ সেবার ডেটাবেইজের মাধ্যমে টেক্সির মালিক এবং ড্রাইভারের তথ্য সংগ্রহ করেন এবং ঐ শিক্ষার্থীর হারানো টাকাসহ ট্রলিব্যাগটি উদ্ধার করে তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ফাতির ইশরাক আরিয়ান বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।