গগনে কালো মেঘে ধরণী অন্ধকার সকাল না দুপুর বুঝার উপায় নেই আবার একটু পরেই রোদের খেলা। গ্রীষ্মে প্রচণ্ড দাবদাহে প্রকৃতি ক্লান্ত নীরব যেন বৃষ্টি এলে হবে সব ঠাণ্ডা শান্ত। প্রচণ্ড দাবদাহে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও এলো বৈশাখ। একদিকে নতুন বছরের আমেজ অন্যদিকে কালবৈশাখীর ঝড়ের তাণ্ডব ভেঙে চুরে সব কিছু নতুন করে সবাই আশায় বাঁধে বুক। নতুন বর্ষকে বরণ করে নেয় সবাই আর কবিরা সব ঋতুতেই কবিতা সাজাতে ব্যস্ত নতুন নতুন। প্রকৃতির পালা বদলে কিছু কিছু খারাপ পরিস্থিতির সাথে সাথে বৈশাখীর মেলা যেন যুগ যুগ ধরে প্রাচীন ঐতিহাতিক নিদর্শন রূপে পরিগণিত। বৈশাখের পর জৈষ্ঠের আগমনে সুন্দর রূপ সৃষ্টি করে আম কাঁঠালের সুঘ্রাণে মন ভরে ওঠে। তারপর আষাঢ় শ্রাবণে ঘনঘটা মেঘ বৃষ্টির খেলা যেন অপরূপ রূপ গাছের ডালে পাখিরা ভিজে পথিকরা ভিজে সাথে সাথে ছোট ছেলেরা নানা মজায় মেতে উঠে। কদম ফুলের ঘ্রাণ। সাথে সাথে শরতের শিউলি। হেমন্তে তালের পিঠা পুলির উৎসব মনোমুগ্ধকর। শীতের কুয়াশা যেন বৈরী মনোভাব পোষণ করে। বসন্তে প্রকৃতি কোকিলের কুহু ডাকে মন হারিয়ে যায়। ঋতু বদলের সাথে সাথে মনে জাগরণ হোক নতুন শুভ কল্যাণকর চেতনায় বাঙালির মনের ভাবনায়।