অভিনেতা মীর সাব্বির বলেছেন, আমার মতো বাংলাদেশে লাখো শিশু–কিশোরের সুস্থ, সুন্দর সাংস্কৃতিক মনন বিকাশে অন্যতম পাঠশালা খেলাঘর। সুদীর্ঘ ৭২ বছর ধরে এদেশের শিশু–কিশোরদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার মহান কাজটি করে যাচ্ছে খেলাঘর। তিনি বলেন, শিশু–কিশোরদের অসাম্প্রদায়িক, বিজ্ঞান মনস্ক ও সংস্কৃতিবান করতে খেলাঘর আন্দোলন আরো বেগবান করতে হবে। মীর সাব্বির গত শুক্রবার পশ্চিম শাকপুরা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত অংকুর খেলাঘর আসরের সপ্তদশ সম্মেলনে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের চেয়ারম্যান সঞ্জয় রায়ের সভাপতিত্বে ও পুলক চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্ধোধন করেন খেলাঘর মহানগরী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম। এসময় ব্যানার ও ফেস্টুন সহকারে এক র্যালি বের হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মন্ডলীর চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মাঘদুমা নার্গিস রত্না। বিশেষ অতিথি ছিলেন শাকপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মোনাফ, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পরিচালক জাহেদুল হক, খেলাঘর মহানগরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোরশেদুল আলম চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন শিক্ষিকা শুভ্রা চক্রবর্তী, তপন মজুমদার, ব্যাংকার বাবুল বিশ্বাস, শিক্ষক বিজয় শংকর চৌধুরী, প্রীতম চৌধুরী, তাপস চক্রবর্তী, মানস দাশ, প্রকৌশলী সনৎ চৌধুরী, বাসুদেব চৌধুরী, সুশান্ত চৌধুরী রাজীব, বাবলা চৌধুরী, নন্দন চৌধুরী, অলক চৌধুরী, দীপক চৌধুরী, স্নেহাশীষ চৌধুরী, সুমন দে, শিমুল শর্মা, রুবেল চৌধুরী রুপক। অনুষ্ঠানে প্রয়াত শিক্ষক নেতা ও খেলাঘর সংগঠক কমরেড সুনীল চক্রবর্তী স্মৃতি বৃত্তি, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা কমরেড সুনীল চক্রবর্তী সম্মাননা স্মারক (মরণোত্তর) প্রদান করা হয়। শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সম্মেলনে সঞ্জয় রায়কে সভাপতি, পুলক চক্রবর্তীকে সাধারণ সম্পাদক ও রুবেল চৌধুরী রুপককে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।