দেশের মৌসুমী ফলের মধ্যে সুস্বাদু ফল লিচু। আর লিচুর নাম এলে প্রথমে আসে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর কালীপুরের লিচুর কথা। কালীপুরের রসালো লিচু বাজারে আসতে শুরু করেছে। বৃষ্টি না হওয়ায় প্রথমে চাষিরা দুশ্চিন্তায় ছিলেন। মাঝে দুয়েকবার বৃষ্টি হওয়ায় মোটামুটি ফলন হয়েছে বলে অভিমত চাষিদের। ঝড়–বৃষ্টির আশঙ্কায় যেসব লিচুতে রং ধরেছে চাষিরা সেসব লিচু বাজারে তুলতে শুরু করেছেন। তবে শুরুতে লিচুর স্বাদ ও পুষ্টিগুণ নিয়ে কথা উঠলেও আর কয়েকদিনের মধ্যে পরিপূর্ণ স্বাদ ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন লিচু বাজারে পাওয়া যাবে বলে জানালেন তারা। শুরুতে একশত লিচু ২০০/৩০০ টাকায় বিক্রি হলেও কিছুদিনের মধ্যে তা কমে আসবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এ বছর প্রচুর ফলন হওয়ায় চাষিরা খুশি। বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর লিচুর জন্য বিখ্যাত। এছাড়া সাধনপুর, পুকুরিয়া, বৈলছড়ি, গুনাগড়ি, পুকুরিয়া, জঙ্গল জলদি, জঙ্গল চাম্বল, পুইছড়িসহ প্রতিটি ইউনিয়নে বাণিজ্যিক ও ঘরোয়াভাবে পাহাড়ি ও সমতল এলাকায় লিচুর চাষ হচ্ছে।
জানা গেছে, এবার বাঁশখালীতে সাড়ে ৮শ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। এর মধ্যে কালীপুরের ৩০০ হেক্টরসহ পুরো উপজেলায় সাড়ে ৮শ হেক্টর বাগানে বিভিন্ন জাতের লিচুর চাষ হয়েছে। এসবের মধ্যে কালীপুরের স্থানীয় জাত ছাড়াও রাজশাহী বোম্বে, বারি–১, ২, ৩ ও ৪ এবং চায়না–৩ জাতের লিচু রয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, কালীপুরের লিচু আকারে একটু ছোট, কিন্তু স্বাদে অতুলনীয়। তাই সারা দেশের মানুষের কাছে এখানকার লিচুর কদর আছে। উপজেলার লিচু বাগানগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, গাছে গাছে থোকায় থোকায় পাকা লিচু ঝুলছে। পুকুরিয়া, সাধনপুর, কালীপুর, পৌরসভা সদর জলদী হয়ে বৈলছড়িসহ বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ি এলাকায়, সড়কের পাশে, বাড়ির আঙিনায়, লোকালয়ের বাগানে এখন শুধু লিচু আর লিচু।
কালীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ ন ম শাহাদত আলম বলেন, বাঁশখালীর অধিকাংশ লিচু আমার কালীপুর ইউনিয়নে উৎপাদিত হয়। এখানকার লিচু রসালো ও সুস্বাদু। তাই দূরদূরান্ত থেকে লিচু ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা এসে এখান থেকে লিচু নিয়ে যান। এখানে লিচু ব্যবসায়ীরা ঝুঁকিহীনভাবে ব্যবসা করে থাকেন বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু ছালেক বলেন, এবার চলতি মৌসুমের শুরু থেকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লিচুর ভালো ফলন হয়েছে।