কাপ্তাই উপজেলার ১৮ জেলের মাঝে ৭২টি ছাগল বিতরণ করেছে উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়। গতকাল মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে জেলেদের মাঝে ছাগল বিতরণ করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্যসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে দরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ছাগল বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙ্গামাটি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর চন্দ্র দাশ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আরিফুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ড. এনামুল হক হাজারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকল্পের সহকারী পরিচালক মো. তোফাজ্জল হোসেন ফাহিম, কাপ্তাই মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের উপ– কেন্দ্র প্রধান মো. জসিম উদ্দিন, কাপ্তাই প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ঝুলন দত্ত এবং কাজী মোশাররফ হোসেন।
প্রধান অতিথি বলেন, কাপ্তাই লেক দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ। এই লেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষের সুযোগ রয়েছে। এখন চলছে মাছের প্রজনন মউসুম। মা মাছ গুলো যাতে স্বচ্ছন্দে বংশ বিস্তার করতে পারে সেজন্যই গত ২৫ এপ্রিল থেকে ৩ মাসের জন্য লেকের মাছ ধরার প্রতি নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। তবে মাছ ধরা বন্ধকালীন সময়ে জেলেরা যাতে কষ্টে না পড়েন সে জন্য তালিকাভুক্ত জেলেদের সরকারিভাবে চাল প্রদান করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি বাছাইকৃত দরিদ্র ১৮জন জেলের প্রত্যেককে ৪টি করে ছাগল বিতরণ করা হয়। জেলেরা যাতে এই ছাগলগুলো লালন পালন করে সংসারে কিছুটা স্বচ্ছলতা আনতে পারে। বিতরণকৃত ছাগলগুলো জেলেরা কিছুতেই বিক্রি করতে পারবেনা এই শর্তে তাদের ছাগল প্রদান করা হলো। তিনি আরো বলেন, সবকিছুর মূলে হলো কাপ্তাই লেককে বাঁচানো। কাপ্তাই লেক বাঁচলে কাপ্তাই মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন বাঁচবে। তিনি কাপ্তাই লেক এবং লেকের মাছ যাতে সুরক্ষিত থাকে সে জন্য আন্তরিক সহযোগিতা প্রদান করার জন্য জেলেদের প্রতি আহবান জানান। পাশাপাশি কাপ্তাই লেক থেকে কেউ যাতে অবৈধভাবে মাছ শিকার করতে না পারে সেজন্য তিনি উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমানকে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করারও পরামর্শ দেন।