চন্দনাইশের দোহাজারীতে হেঁটে যাওয়ার সময় হঠাৎ পড়ে গিয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। চন্দনাইশ প্রতিনিধি জানান, নিহত নুরুল ইসলাম (৭০) সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নের মৃত নজির আহমদের ছেলে। তিনি গত ২১ এপ্রিল থেকে নিউমোনিয়ার সমস্যা নিয়ে দোহাজারী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
দোহাজারী পৌরসদর এলাকার নাজিম উদ্দীন খান নামে এক ফার্মাসিস্ট জানান, গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে ওই বৃদ্ধ ব্যক্তি দোহাজারী হাসপাতাল সংলগ্ন চট্টগ্রাম–কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় মাথা ঘুরে পড়ে যান। এ সময় স্থানীয় কয়েকজনের সহযোগিতায় তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ইসিজি করার পর তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়। পরে তার পরিবারের সদস্যদের খবর দিলে বেলা ১১টার দিকে ওই ব্যক্তির ছেলে ও পরিবারের সদস্যরা এসে তার লাশ বাড়িতে নিয়ে যায়। স্থানীয়দের ধারণা, ওই বৃদ্ধ অতিরিক্ত গরমের কারণে হিট স্ট্রোক করেছেন।
এ ব্যাপারে দোহাজারী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আহমেদ তানজিমুল ইসলাম জানান, নুরুল ইসলাম নামে ওই বৃদ্ধ গত ২১ মে হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি নিউমোনিয়া রোগে ভুগছিলেন। তিনি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ৯ দিন পার হলেও তার কোনো আত্মীয়–স্বজনকে হাসপাতালে এসে তার খবরাখবর নিতে দেখা যায়নি। অসুস্থতার কারণে তিনি প্রায় সময় হাসপাতালে ভর্তি হতেন। গত মাসেও তিনি শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। নিউমেনিয়ার মাত্রা বেশি হওয়াতে তাকে একটি এক্সরে করার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। মনে হচ্ছে তিনি এক্সরে করাতেই গতকাল হাসপাতাল থেকে বের হয়েছিলেন। তিনি নিউমোনিয়ার কারণেই মারা গেছেন। হিট স্ট্রোক করে মারা গেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ডাক্তার বলেন, অতি অল্প সময়ের জন্য ওই রোগী হাসপাতাল থেকে বের হয়েছিলেন। মিনিমাম ৩ ঘণ্টা রোদে থাকার পর যদি মারা যেত তাহলে হিট স্ট্রোক বলা যেতো।
এদিকে চকরিয়া প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজারের পেকুয়ায় মাত্রাতিরিক্ত গরমের তাপ সহ্য করতে না পেরে মোহাম্মদ কালু মিয়া (৫০) নামে এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার তেলিয়াকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কালু মিয়া ওই গ্রামের মৃত নাগু মিয়ার পুত্র। পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাহাদুর শাহ্ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গতকাল দিনমজুর হিসেবে মোহাম্মদ কালু মিয়া পাশ্ববর্তী বাড়িতে ধান মাড়াই ও খড়ের গাদা তৈরির করার কাজ করছিলেন। এ সময় কালু অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার পর স্বজনদের বর্ণনা অনুযায়ী অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়া কালু মাত্রাতিরিক্ত গরম সহ্য করতে পারেনি। এটিকে হিটস্ট্রোক হিসেবে গণ্য করা হয়।