ছোট একটি কোষ, তার ভিতরে নিউক্লিয়াস, তার ভিতরে ডিএনএ যা আমাদের বংশের ধারক ও বাহক। এই ডিএনএ আবিষ্কারের ৭১ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে চবি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিভাগের সেমিনার কক্ষে পোস্টার এঙিবিশন, ফটো এঙিবিশন, কুইজ প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভাসহ নানা কার্যক্রমের আয়োজন করে বিভাগটি। সেমিনার কক্ষে আয়োজিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ–উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে এবং উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. সেকান্দর চৌধুরী।
এতে ‘মেকিং সেন্স অব ইউর ডিএনএ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক এবং জাতীয় ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরীর কারিগরী উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শরীফ আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, ডিএনএ পৃথিবীকে পরিবর্তন করে দিয়েছে ফরেনসিক সাইন্স যা অপরাধী সনাক্ত করে, পিতামাতা সনাক্ত করে, অভিবাসী বিতর্ক, কিনশিপ এনালাইসিস, উত্তরাধিকার বিতর্ক এবং ধ্বংসাবশেষ সনাক্তকরণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
এছাড়া তিনি জীবের নিয়ন্ত্রণকারী অনু ডিএনএ কিভাবে কাজ করে এবং কিভাবে একজন থেকে আরেকজন ভিন্ন তা সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করেন। দেশের নিজস্ব উদ্ভিজ এবং প্রাণীকুলের ডিএনএ এর তথ্য বিশ্লেষণ করে কিভাবে নিজেদের প্রয়োজনে এ সকল প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যাবহার করা যায় তা উঠে আসে।
উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. সেকান্দার চৌধুরী বলেন, মহাকালের যে বয়স হয়েছে তার তুলনায় ডিএনএর ৭১ বছর কিছুই নয়। আমি এই বিভাগের সফলতা কামনা করছি।
উপ–উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে বলেন, একটি আলো স্ফুলিঙ্গ থেকে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছে যাকে বিগব্যাং বলা হয়। এই পৃথিবীতে ৮শত কোটি মানুষ আছে যাদের সবার ডিএনএ আলাদা। এখানেই অমাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে আত্মসমর্পণ করতে হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৌহিদ হোসেন, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রফেসর ড.মোহাম্মদ আল– ফোরকান, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৌহিদ হোসেন ও বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. লায়লা খালেদা। শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়।