সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হামরিয়াহ বন্দরে বার্থিং নিয়ে কয়লা খালাস শুরু করেছে। গতকাল স্থানীয় সময় সন্ধ্যার কিছু পরে জাহাজটি থেকে কয়লা খালাস শুরু হয়। সোমালি দস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার পর টানা এক সপ্তাহের সমুদ্রযাত্রা শেষে গত রোববার বিকেলে জাহাজটি আল হামরিয়াহ বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়।
গতকাল জাহাজটি বন্দরের জেটিতে বার্থিং নেয়ার পর কয়লা খালাস শুরু হয়। জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম কয়লা খালাস শুরু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুবাইস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, কমার্সিয়াল কাউন্সিলর এবং কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাতের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম থেকে যাওয়া কোম্পানির একটি টিম জাহাজের নাবিকদের স্বাগত জানান এবং খোঁজখবর নেন। নাবিকদের সকলেই সুস্থ আছেন বলে কেএসআরএম সূত্র জানায়। তারা বলেন, আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুজন নাবিক বিমানযোগে বাংলাদেশে ফিরবেন। এ ছাড়া বাকি ২১ নাবিক জাহাজেই ফিরবেন। জাহাজটি কয়লা খালাস শেষে চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য কার্গো বোঝাই করে আগামী সপ্তাহে চট্টগ্রামের পথে যাত্রা করার কথা রয়েছে। আগামী ১০ থেকে ১২ মের মধ্যে জাহাজটি চট্টগ্রাম পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ দুপুরে এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। জাহাজের মালিকপক্ষের তৎপরতায় জলদস্যুদের সাথে সমঝোতায় এক মাসের বেশি সময় পর বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা ১৩ এপ্রিল নেমে যায়। দস্যুমুক্ত হয়ে ওই রাতেই সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। পথিমধ্যে ভারত মহাসাগরে জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ে।