লোহাগাড়ার চুনতিতে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে একটি গাছের সাথে ধাক্কায় ৩ জন নিহত হয়েছেন। গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কে ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় বাসে থাকা আরো ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহতরা হলেন গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বড়চিপ ইউনিয়নের বাসিন্দা জসিম উদ্দিনের পুত্র মো. জুনাইদ (১৯), কুমিল্লার হোমনা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা অহিদ মিয়ার পুত্র বাসের সহকারী মো. সোহেল (২৫) ও কুমিল্লার মুরাদনগর থানার নগরপাড় গ্রামের বাসিন্দা শাহ আলমের পুত্র বাসের সুপারভাইজার মো. বিল্লাল হোসেন (৩৭)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থলে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী তিশা গোল্ডেন লাইনের যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে একটি গাছের সাথে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে ৩ জন নিহত ও ১০ জন আহত হন। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। দুর্ঘটনায় বাসের সম্মুখভাগ দুমড়ে মুচড়ে গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বেপরোয়া গতির কারণে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সাথে ধাক্কা দেয়। সংঘর্ষের ফলে নিহত তিন জনই বাসের ভেতর আটকা পড়েন। দুর্ঘটনার পর অনেকক্ষণ তারা জীবিত ছিলেন। তাদেরকে বাসের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ কেটে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতায় দেরি হওয়ায় অধিক রক্তক্ষরণের ফলে ঘটনাস্থলে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। দুর্ঘটনার ফলে প্রায় ২ ঘণ্টা যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। বাসটি গাছের সাথে ধাক্কা লেগে আটকে না গেলে আরো বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা ছিল। কারণ পাশেই ছিল গভীর খাদ। বাসের ধাক্কায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছে গাছ, উপড়ে গেছে শিকড়। রাতেই দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি উদ্ধার করে নিয়ে গেছে হাইওয়ে পুলিশ।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি খান মুহাম্মদ এরফান জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়। দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও নিহতদের উদ্ধার করে হাইওয়ে থানা হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।