একমাসের মধ্যে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকায় ৬ জনকে আটক ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করেছে সন্দ্বীপ থানা পুলিশ। র্যাব-৭ এর একটি টিম সন্দ্বীপ থানাকে অভিযানে সহযোগিতা করে।
অভিযানে ডাকাতদের কাছ থেকে লুন্ঠিত ৯ ভরি স্বর্ণালংকার, ২টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি উদ্ধার করে সন্দ্বীপ থানা পুলিশ।
গত ১ এপ্রিল ঘটনায় জড়িত আসামি নুরুল আফসার (৩৪) ও মো. সোহেল (৩০) কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে লুন্ঠিত মালামাল বিক্রির নগদ টাকা ও ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলসহ দেশিয় যন্ত্রপাতি উদ্ধার করে সন্দ্বীপ থানা পুলিশের একটি টিম। এছাড়া এ দুইজনের তথ্যমতে এ ঘটনার অন্যতম সদস্য ও আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য সন্দ্বীপ কালাপানিয়া ইউনিয়নের মৃত মনির উদ্দিন প্রকাশ মনু মিয়ার ছেলে মো. রোবেল (৩৩) কে র্যাব-৭ এর সহযোগিতায় ২০ এপ্রিল সকাল ১১ টায় সীতাকুণ্ড ভাটিয়ারি হতে আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, এ ডাকাত রুবেল ২২ টি মামলার এজহারভুক্ত আসামি। তার দেয়া তথ্যমতে মো. মিজানুর রহমান (৫৩) ও মো. সিরাজ (৪১) কে ওইদিন বিকাল ৩ টায় ফিরিঙ্গি বাজার থেকে র্যাব-৭ এর সহযোগিতায় আটক করে সন্দ্বীপ থানা।
সন্দ্বীপ থানার ওসির নেতৃত্বে ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য মো. রুবলে, মো. সরিাজ, মো. মিজানুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদে ও অভিযান পরিচালনাকালে আসামিদের দেখানো মতে সন্দ্বীপের মুছাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ধোপারহাট বাজারের দিপা জুয়েলার্স নামেত স্বর্ণের দোকান হতে স্বর্ণাকার দিলিপ চন্দ্র বনিক (৪৮) কে আটক করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে ডাকাতির সময় লুন্ঠিত স্বর্ণালংকারের মধ্য হতে ৯ ভরি ২ আনা ওজনের স্বর্ণালংকার (স্বর্ণের বার) উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১০ লক্ষ টাকা বলে জানায় সন্দ্বীপ থানা সূত্র।