কতদূরে আছ তুমি, কতদূরে
সেই ভোরের আলো ফোটার পর থেকে
তোমারে খুঁজে ফিরি
বারে বারে।
স্নিগ্ধ নরম রোদে খুঁজি তোমায়,
ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে
কর্মব্যস্ত দিনের প্রতিটা ক্ষণে,
ক্লাসের ঘণ্টার ধ্বনিতে,
নির্জন দুপুরের খাঁ খাঁ রোদের উত্তাপে,
নেই, নেই কোনোখানে তুমি।
বিকেলের হিমেল হাওয়াতে
মাঠের ফুটবল খেলায় মত্ত উচ্ছল শিশুদের কাছে
তাল পুকুরের ধারে, মটরশুঁটির বনে,
ঝাউয়ের শাখায়, প্রজাপতির ডানায়,
পাখিদের কূজনে,
নেই, নেই কোথাও নেই,
তুমি কি আসবে না ফিরে কোনোদিন!
আমারে এ কোন অনলের জ্বালায়,
কোন বিরহের যন্ত্রণায় তুমি ঠেলে দিয়েছো!
এই হৃদয় ক্ষরণ কি তোমায় স্পর্শ করে না!
দেখা কভু দিবে না এমন পণে কি তুমি
বদ্ধ পরিকর!
ফিরে এসো, ফিরে এসো এ হৃদয়ের কূলে
ফিরে এসো ঐ অচিনের দেশ থেকে
ফিরে এসো আমার বহুকাঙ্ক্ষিত
শ্বেত–শুভ্র শান্তির পায়রা।
তোমার শূন্যতায় আমি আজ রিক্ত,
আঘাতে আঘাতে রক্তাক্ত।
শান্তি, শান্তি… ফিরে এসো আমার আঙিনায়।