বসন্তের বিলীন গন্ধে
কাতর হয় ঘাসের তুমুল প্রাণ।
বাষ্পায়িত বক্ষে
স্বপ্ন দেখে জলাভূমির কোল।
প্লাবনের অপেক্ষায় থাকে
শ্রাবণের মাঠ।
আসবে এক ঝাঁকড়া চুলো মেঘমালা।
হিমালয়ের বুক থেকে খুবলে আনবে
এক টুকরো হিম।
জাদুর মত মাখিয়ে দেবে বাতাসের বিহ্বলতায়।
আভূষণ খুলে শরীর ভেজাতে ব্যস্ত হবে পাখিরা।
ভৈরবীর মূর্ছনায় ভিজবে মানুষের মন।
মনে মনে নেচে উঠবে সরলতার বন্ধুরা।
রৌদ্রময়ের কার্পণ্য থাকবে না সেই ভোরে।
সে দ্বীপশিখা হবে জন্মান্তরের।
আলোয় আলোয় ধুয়ে যাবে
পিচঢালা নকশী রাজপথ!
সেই নকশায় ঢেকে যাবে
শিশুকন্যার গালের টোল।
সারি সারি শাড়ি
আর পাঞ্জাবীর প্লাবনে
আরামে আড়ষ্ট হবে
প্রিয় পথের কোল।
শিরীষতলা, ডিসি হিলও
পরিপাটি হবে আদ্যোপান্ত
ডুব দেয়া জল স্নানের মত।
কবিতায়, সুরে, ছন্দে
সৃষ্টি হবে এক সুখের সমুদ্র!
এক নন্দিত বাংলা!
মানুষের কোলাহল, সুরযন্ত্রের ম্রিয়মাণ শব্দ
শুনতে শুনতে চোখ মেলে দেখি
এক জগত নিস্তব্ধ হয়ে আছে শূন্যতায়!
হৃদয়ের ভাঙা টুকরোগুলো মিলিয়ে নিয়ে
একটি বৈশাখের নিপুণ ছবি নির্মিত হল।
স্বপ্নে এসেছিল সুবর্ণ বৈশাখ!