বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তপথে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির আরও ১২ সদস্য পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে টিকতে না পেরে গতকাল মঙ্গলবার সকালে ফাত্রাঝিরি রেজু আমতলী পাড়া সীমান্তপথে ও জামছড়ি সীমান্তপথে তারা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় গ্রহণ করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের আষাঢ়তলী–জামছড়ি ও ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু সীমান্তপথে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ১২ সদস্য পালিয়ে আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারের জান্তা বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মি (এএ) বিদ্রোহীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত চলে আসছে। সংঘাতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে টিকতে না পেরে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর সদস্যরা জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের সদস্য বাবুল কান্তি চাকমা জানান, ফাত্রাঝিরি রেজু আমতলী পাড়া সীমান্তপথে ২ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। সংঘাত চলমান থাকায় এদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, জামছড়ি সীমান্তপথে নতুন করে আরও ১০ জন বিজিপি সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তাদেরকে বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, সকালে ১২ জন বিজিপি সদস্য সীমান্তপথে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তাদের নিরস্ত্র করে বিজিবি ক্যাম্পে হেফাজতে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে কয়েক দফায় ১৭৭ জন বিজিপি সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল।
