জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, আমরা কিশোর গ্যাং দেখতে চাই না। কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তাদের হাত থেকে নিরীহ মানুষ, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক থেকে শুরু করে কেউ রক্ষা পাচ্ছে না। সার্বিক বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করব। শুধু কিশোর গ্যাং নয়, তাদের গড ফাদারদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। গতকাল নগরীর সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সীতাকুণ্ড, মীরসরাই ও সন্ধীপ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তার করতে দেয়া হবে না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেভাবে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, ঠিক উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও একইভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক রোধে পুলিশ কাজ করছে। যদি কোনো গোষ্ঠী বা দল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে তাদের ছাড় নেই। এর আগে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে গত মাসের অপরাধ চিত্র তুলে ধরেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) একেএম গোলাম মোর্শেদ খান। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এনএসআইয়ের যুগ্ম পরিচালক মো. মাজাহারুল ইসলাম, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরওয়ার কামাল দুলু, চেম্বার পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মান্নান, জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট এএইচএম সাইফুল্লাহ হাবিব, উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী (কর্ণফুলী), উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা জেরিন (মীরসরাই), মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী (ফটিকছড়ি), এবিএম মশিউজ্জামান (হাটহাজারী), মো. রিদুয়ানুল ইসলাম (রাউজান), রায়হান মেহেবুব (রাঙ্গুনিয়া), ইমরান হোসাইন সজীব (বোয়ালখালী), আলাউদ্দিন ভূইয়া জনী (পটিয়া), মাহমুদা বেগম (চন্দনাইশ), মো. ইনামুল হাছান (লোহাগাড়া), জেসমিন আক্তার (বাঁশখালী), মাসুমা জান্নাত (কর্ণফুলী) রিগ্যান চাকমা (সন্ধীপ), কে এম রফিকুল ইসলাম (সীতাকুণ্ড), সিএমপির এসি (ক্রাইম) নুরে আল মাহমুদ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হুমায়ুন কবির খন্দকার, সিনিয়র জেল সুপার মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন, র্যাবের এএসপি মো. নাফি উদ্দিন, পৌর মেয়র মো. জহুরুল ইসলাম (বোয়ালখালী), মো. গিয়াস উদ্দিন (মীরসরাই), জমির উদ্দিন (রাউজান), আইয়ুব বাবুল (পটিয়া), মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম খোকা (চন্দনাইশ), এসএম তোফাইল বিন হোসাইন (বাঁশখালী), মো. লোকমান হাকিম (দোহাজারী) ও হাটহাজারী পৌর প্রশাসক মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, প্রতিনিধি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।