ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে গত দুদিন ধরে তেমন কোনো যানজট নেই। ঈদের ছুটিতে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছে ঘরমুখী মানুষ। মহাসড়কে সীতাকুণ্ড অংশে বসানো হয়েছে বেশকিছু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন সিসিটিভি ক্যামেরা। এ সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে এবং উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নজরদারিতে রাখবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি মহাসড়কের তিনটি স্থানে কমিউনিটি পুলিশও কাজ করছে।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে চুরি, ডাকাতি, নাশকতা, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং ও সকল প্রকার অপ্রীতিকর কর্মকাণ্ড রোধ করতে ও বিভিন্ন অপরাধ দমনে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) বসানো হয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীর সিটি গেট থেকে ঢাকা সিটি মহাসড়ক সাইনবোর্ড পর্যন্ত প্রায় ২৫০কিলোমিটার সড়কে ৪৯০টি স্থানে উন্নত প্রযুুক্তির ১হাজার ৪২৭টি এই সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এতে মহাসড়কের অধিকাংশ এলাকা নজরদারির আওতায় এসেছে। সীতাকুণ্ড অংশের দুই হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা যায়, মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে গত দুদিন ধরে তেমন কোনো যানজট নেই। হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি মহাসড়কের ছোট কুমিরা, বাঁশবাড়িয়া, বাড়বকুণ্ডের তিনটি জায়গায় কমিউনিটি পুলিশও কাজ করছে। যানজট নিরসনে মহাসড়কের সিটি গেট হতে দারোগারহাট এলাকার ৯টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে একাধিক সিসি ক্যামেরা রয়েছে।
বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন চন্দ্র ঘোষ বলেন, মহাসড়ক একবারে ফাঁকা। কিন্তু এখন ফাঁকা সড়ক পেয়ে বেপরোয়া গতিতে চলছে যাত্রীবাহী যানবাহন। এই বেপরোয়া গতি তাঁদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া মহাসড়কে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে ঘরমুখী মানুষের নিরাপদ ঈদযাত্রায় কঠোর নজরদারি থাকবে। দুর্ঘটনা ঘটিয়ে যেকোনো গাড়ি পালিয়ে গেলে সেটাও শনাক্ত করা সম্ভব হবে। এরফলে মহাসড়কে চালকরা গাড়ি চালানোর সময় অধিকতর সচেতন হবেন এবং এতে করে দুর্ঘটনার হার কমে আসবে।
কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আব্দুল হাকিম আজাদ জানান, প্রতিবছর ঈদে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ওভারটেকিং প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে নিয়ম ভাঙেন চালকরা। যার ফলে সৃষ্টি হয় যানজট। এবারের ঈদ যাত্রায় মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশকে যানজট মুক্ত রাখতে এবং মানুষের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন তারা। বিশেষ করে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের শুকলাল হাট থেকে বড় দারোগার হাট এলাকায় একাধিক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা থাকায় তাৎক্ষণিক যানজট মুক্ত করতে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।