মাহে রমজানের সওগাত

মুহম্মদ মাসুম চৌধুরী | সোমবার , ৮ এপ্রিল, ২০২৪ at ৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ

ইসলামে ফিতরার গুরুত্ব ব্যাপক। ফিতরা সম্পর্কে মুসলমানরা তেমন জ্ঞাত নন। ফিতরার নিয়মকানুন এবং ফিতরা কখন কাদের দিতে হবে সে বিষয়টি নিয়ে আজকের আলোচনা। ঈদের দিন ভোরে ফিতরা ওয়াজিব হয়। সুবহ সাদেকের পূর্বে কেউ ইন্তেকাল করলে তার উপর ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব নয়। কোনো সন্তান যদি সুবহ সাদেকের পূর্বে জন্মগ্রহণ করে তবে তার ফিতরা দিতে হবে। সুবহ সাদেকের পরে জন্ম নিলে ফিতরা দিতে হবে না। সুবহ সাদেকের পর কেউ নতুন মুসলমান হলে তাকেও ফিতরা আদায় করতে হবে না। ফিতরা গম বা আটা অথবা ছাতু দ্বারা আদায় করতে চাইলে ৮০ তোলার সের হিসেবে ১ সের সাড়ে ১২ ছটাক দিতে হবে। পূর্ণ দুই সের দেওয়া ভালো। বেশি দিলে দোষ নেই। বরং সওয়াব বেশি পাওয়া যাবে। কম দিলে ফিতরা আদায় হবে না। যব বা যবের ছাতু দ্বারা ফিতরা আদায় করতে চাইলে তিন সের নয় ছটাক দিতে হবে। পূর্ণ চার সের দেওয়া উত্তম।

ধান, গম, বুট ইত্যাদি দ্বারা ফিতরা আদায় করতে চাইলে উপরোক্ত পরিমাণ গম বা যবের মূল্যমানের সমান দিতে হবে। মূল্য হিসাব করে না দিলে ফিতরা আদায় হবে না। গম বা যব অথবা তৎসমমূল্যের অন্য কোনো খাদ্যবস্তু না দিয়ে সেগুলোর মূল্য নগদ টাকায় দেওয়া হলে ফিতরা আদায় হয়ে যাবে। এটাই উত্তম।

একজনের ফিতরা একজনকে দেওয়া যায়। আবার একজনের ফিতরা কয়েকজনকেও ভাগ করে দেওয়া যায়। যদি কয়েকজনের ফিতরা একজনকে দেওয়া হয় তবুও বৈধ হবে। কিন্তু এত বেশি পরিমাণ দেওয়া যাবে না, যাতে সে যাকাত দেওয়ার উপযুক্ত হয়ে যায়।

ঈদের নামাজের আগেই ফিতরা আদায় করা মোস্তাহাব। কোনো কারণে আগে দেওয়া সম্ভব না হলে পরে আদায় করবে। ঈদের দিনে ফিতরা দিতে না পারলে মাফ হবে না। অন্য সময় দিতে হবে। যদি ঈদের আগে রমজান মাসের মধ্যে ফিতরা দেওয়া হয় তবে তাও উত্তম। ঈদের দিন পুনরায় ফিতরা দিতে হবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকেএনএফ বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে, বিশ্বাসের সুযোগ নিয়েছে
পরবর্তী নিবন্ধকেএনএফের প্রধান সমন্বয়ক গ্রেপ্তার