বাজারে ৬০ টাকার নীচে ভালো চাল নেই। ভালো না, মোটামুটি চলতে হলেও চালের জন্য ভালো খরচ করতে হয়। মাছের দাম চড়া। মাংসের দাম হঠাৎ হঠাৎ লাফিয়ে উঠে নাগালের বাইরে চলে যায়। শাকসবজির দামেও সবসময় স্বস্তি থাকে না। প্রায়ই গণমাধ্যম এর শিরোনাম হয় এসবের চড়া দাম। তেল, চিনি, লবণ, মসলা, দুধ নিয়ে গুণ্ডামি (সিণ্ডিকেট) তো চিরসঙ্গী হয়ে যাচ্ছে! ফলমূল কি দুর্বৃত্তদের নজরের বাইরে? মোটেই না। রমজানে খেজুরের চাহিদা বেশি। তারা সিয়াম সাধনার মাসে এটিকেও বাদ দিলো না। তরমুজ নিয়ে তুলকালাম চললো। গণমাধ্যম এর অনুসন্ধানী রিপোর্ট হতে জানা গেল কৃষক থেকে চার ভাগের এক ভাগ থেকেও কমে কেনা তরমুজ। পৃথিবীর সব দেশের ব্যবসায়ীরাই লাভ করে। ব্যবসায় লাভের একটা সীমা আছে। কিন্তু সেটা মাত্রা অতিক্রম করলে সেটা আর ব্যবসা থাকে না, হয়ে যায় সন্ত্রাস। ব্যবসায়ের নামে সন্ত্রাস। এটার বলি স্বল্প আয়ের মানুষ। বাজার ব্যবস্থাপনার অসঙ্গতিগুলো যত তাড়াতাড়ি সমাধান হবে মানুষের জীবন তত তাড়াতাড়ি স্বস্তিদায়ক হবে। যারা নাটের গুরু তাদের দমন করা আবশ্যক হয়ে গেছে। আর কতকাল কৃষক আর সাধারণ ভোক্তাকে ঠকিয়ে একদল দানব সাধারণ ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ফুলেফেঁপে কলাগাছ হবে? আর কতকাল তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে?
সঞ্জয় দেবনাথ
আজম রোড, নাজিরহাট
ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম।