বড় জনের বয়স ৩৫, দ্বিতীয় জনের বয়স ২৮ ও তৃতীয় জনের বয়স ২৫। তারা তিন ভাই শারীরিক প্রতিবন্ধী। হেঁটে চলাফেরা করতে পারেন না, ভালো করে কথা বলতে পারেন না। করতে পারেন না কোনো কাজকর্ম। হাতের ওপর ভর দিয়ে কোনো রকমে জায়গা পরিবর্তন করতে পারেন। বলতে গেলে তিনজনই অচল।
আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ গুজরা গ্রামের ইউনুছ চৌধুরীর বাড়ির কৃষক আবুল কাশেম বিয়ে করেন ৩৮ বছর আগে। বিয়ের পর তাদের সংসারে জন্ম নেয় ছেলে ও মেয়ে মিলে ৮ সন্তান। বড় তিন ছেলে সন্তানের শারীরিক অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে তাদের চিকিৎসা করান। কিন্তু তিন ছেলেই বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরোপুরি প্রতিবন্ধী হয়ে যান এবং একেবারে অচল হয়ে পড়েন।
তিন সন্তান শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় বড়ই বিপাকে পড়ে এই দম্পতি। তিনটি ছেলে চলাফেরা করতে পারে না, কারো সঙ্গে মিশতে পারে না, সব সময় বাড়িতে থেকে সময় কাটাতে হয় তাদের। আবুল কাশেম মাঠে কৃষিকাজ করে সংসার চালান। বয়স হয়েছে, কৃষি কাজ আগের মতো শরীর চলে না। চরম দুঃখ–কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করছেন তারা। তিন প্রতিবন্ধী ভাই প্রতিবন্ধী ভাতা পেলেও তা অপ্রতুল।
এ বিষয়ে আনোয়ারা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রিজয়ান উদ্দীন জানান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের সামাজিক ও নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় তিন ভাইয়ের জন্য প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা হয়েছে। তাদের জীবনধারণের জন্য এই ভাতা যৎসামান্য। তিনি তাদের পাশে থাকার জন্য সমাজের বিত্তশালীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।