চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে বিপাকে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে রোগীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। গতকাল সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করে চিকিৎসকরা। বেতন ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সোসবার ইন্টার্ন ডক্টরস এসোসিয়েশন চমেক হাসপাতাল এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
চমেক ইন্টার্ন ডক্টরস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মুকেশ রঞ্জন দে দৈনিক আজাদীকে বলেন, বেতন ভাতা বৃদ্ধির জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলাম। আমরা ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালে রোগীদের দিনরাত সেবা দিচ্ছি। কিন্তু বেতন ভাতা নিয়ে আমাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে। আমরা মাত্র ১৫ হাজার টাকা ভাতা পাচ্ছি। এই ১৫ হাজার টাকা তো বর্তমান সময়ের জন্য কিছু না। এছাড়া পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা পাচ্ছেন মাত্র ২৫ হাজার টাকা।
চমেক ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. মোহাম্মদ ফয়েজউল্লাহ বলেন, আমরা আজকে (গতকাল) কোনো কর্মসূচি পালন না করলেও কেউ কাজে যোগ দিইনি। আমরা ঢাকার ইন্টার্ন চিকিৎসক নেতাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয়ের সাথে দেখা করেছেন। তিনি তাদের মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু আমরা লিখিত আশ্বাস চাই।
আগামীকাল (আজ) স্বাধীনতা দিবস। আমাদের দাবি মানা না হলে আগামী ২৭ তারিখ থেকে কর্মবিরতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান দৈনিক আজাদীকে বলেন, ইন্টার্ন ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্র্েইনি চিকিৎসকরা হাসপাতালে একটি বিরাট ভূমিকা পালন করে। হাসপাতালের বর্তমানে এসব চিকিৎসকের সংখ্যা অন্তত পাঁচ শতাধিক। স্বাভাবিক চিকিৎসা সেবায় কিছুটা বিঘ্ন ঘটবে।
উল্লেখ্য, চার দফা দাবিতে গত শনিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সমাবেশ থেকে সারাদেশে পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসক ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি ঘোষণা করেন। এরপর রাত ৮টা থেকে দেশের সব হাসপাতালে একযোগে শিক্ষানবীশ চিকিৎসকেরা সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।