চট্টগ্রামে শ্রবণপ্রতিবন্ধী মানুষকে রাষ্ট্র ও সমাজে একীভূত করতে দোভাষী সেবা নিয়মিত চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারি ও বেসরকারি (এনজিও) প্রতিনিধিবৃন্দ। গতকাল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে কৃষ্টির উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ আহ্বান জানান। তারা বলেন, প্রতিবন্ধী মানুষের খাতে কর্মরত সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি আয়োজনে শ্রবণপ্রতিবন্ধী মানুষের সাথে আন্তঃযোগাযোগের পরিবেশ সৃষ্টি এবং দোভাষী সংকট সমাধান করতে সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক কাজী নাজিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বধির উন্নয়ন সংঘের উপদেষ্টা ফিরোজ আহমেদ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, মো. আলী শিকদারসহ বিভিন্ন এনজিও এবং প্রতিবন্ধী মানুষের সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ।
প্রধান অতিথি কাজী নাজিমুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামে বিভাগীয় পর্যায়ের সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকাণ্ডে শ্রবণপ্রতিবন্ধী মানুষদের অন্তর্ভুক্ত করতে দোভাষী সেবার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও প্রশিক্ষিত দোভাষী তৈরি করার জন্য বাংলা ইশারা ভাষা দোভাষী প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে। শ্রবণপ্রতিবন্ধী মানুষের সাথে সরকারি–বেসরকারি এনজিও প্রতিনিধিদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করার পাশাপাশি প্রতিবন্ধী মানুষদের সার্বিক উন্নয়নে সকল ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি। অনুষ্ঠানের সভাপতি সাবরিনা সুলতানা বলেন, চট্টগ্রামে শ্রবণপ্রতিবন্ধী মানুষের জন্য বিদ্যালয় আছে মাত্র ১টি। ৪৭ হাজার শ্রবণপ্রতিবন্ধী মানুষের জন্য প্রশিক্ষিত দোভাষী নেই। ফলে তারা বিদ্যালয়, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা থেকে যেমন বঞ্চিত হচ্ছে তেমনি প্রতিনিয়ত রাগ, ক্ষোভ ও বিচ্ছিন্নভাবে তারা বড় হচ্ছে। তাদের দোভাষী সংকটের সমাধান করে সমাজের মূল স্রোতধারায় ফিরিয়ে আনতে তিনি সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দকে আহ্বান জানান। মূল প্রবন্ধে শ্রবণ–দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষের স্বাধীন জীবনযাপন পদ্ধতি ও স্পর্শ ভাষা পরিচিতি বিষয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মাইনুদ্দীন সোহেল এবং শ্রবণপ্রতিবন্ধী মানুষের শিক্ষা, চাকরি ও দোভাষী সংকট তুলে ধরেন শ্রবণপ্রতিবন্ধী রূপম মজুমদার। সভাটি সঞ্চালনা করেন রাহুল শর্ম্মা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।