বয়োবৃদ্ধ আমেরিকা প্রবাসীর নাম ব্যবহার করে কোম্পানি গঠন, ব্যাংক হতে কোটি কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ, ফ্ল্যাট বিক্রি করে বিভিন্ন লোকদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাতের মামলায় সিটি স্ক্যাপ প্ল্যানার্স কোম্পানির এমডি মো. মোমেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি সন্দ্বীপ থানার মুসাপুর চাদেঁরগো বাড়ির মৃত আবদুল বাতেনের ছেলে। গতকাল চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম এ আদেশ দেন। বাদীর আইনজীবী ফয়সাল নূর আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সন্দ্বীপ উপজেলার ইয়াছিন সুকানির বাড়ির মৃত মোহাম্মদ ইয়াছিন মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ বাবুল মিয়ার দায়ের করা প্রতারণা মামলায় পিবিআই’র তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে মো. মোমেনসহ ১৪ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মো. মোমেন আত্মসমর্পন করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন. মো. আরাফাত, শিহাব উদ্দিন, মোহাম্মদ নাজমুস সাকিব, মাহবুবুর রহমান, এএসএম রফিকুল ইসলাম, এসএম সাইফুল ইসলাম, মোহাররামুল কবির, পিযুষ চন্দ্র রায়, সুরাইয়া বেগম, মোহাম্মদ শাহজাহান, জেসমিন মান্নান, শাহরিয়ার মাহমুদ ও রাশেদ হোছাইন।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, বাদী মোহাম্মদ বাবুল মিয়া দীর্ঘ ৩০ বছরের অধিক সময় ধরে স্থায়ীভাবে আমেরিকায় বসবাস করছেন। তার অনুপস্থিতিতে আসামিরা তার নাম ব্যবহার করে ভুয়া কোম্পানি ও বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্ট সৃজন করে বেশ কয়েকটি অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে জমি ক্রয়–বিক্রয় এবং জমিতে সুউচ্চ ইমারত নির্মাণের পরিকল্পনা করে ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষকে আকৃষ্টও করেন। প্রতারণার মাধ্যমে আসামিরা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। আসামিরা বাদীকে ভুয়া কোম্পানির কখনো চেয়ারম্যান, কখনো ব্যবস্থাপনা পরিচালক বানিয়েছেন। তারা ফ্ল্যাট ক্রয়কারীদের নিকট ফ্ল্যাটের দখল বুঝিয়ে না দেয়ায় এবং গৃহীত ঋণ পরিশোধ না করায় বাদীসহ আসামিদের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন। বাদী দেশে বেড়াতে এলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি জানতে পেরে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।