আসামিদের যাতায়াত ভাড়া দিতে পরীমনিকে আদালতের নির্দেশ

| বৃহস্পতিবার , ২১ মার্চ, ২০২৪ at ৫:০৩ পূর্বাহ্ণ

সাভারের বোট ক্লাবে মারধর ও যৌন হয়রানির মামলায় সাক্ষ্য শেষ না করে বার বার সময় চাওয়ায় আসামিদের যাতায়াত ভাড়া বাবদ এক হাজার টাকা করে দিতে মামলার বাদী, চিত্রনায়িকা পরীমনিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল৯ এর বিচারক শাহানা হক সিদ্দিকা গতকাল বুধবার পরীমনির আইনজীবীকে এ আদেশ দেন। খবর বিডিনিউজের।

গতকাল পরীমনির অসমাপ্ত সাক্ষ্য শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আদালতে হাজির হননি। তার পক্ষে আইনজীবী জয়া রাণী দাশ সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাতে সময়ের আবেদন করেন। সেখানে বলা হয়, পরীমনি সিনেমার শুটিংয়ের জন্য ভারতে থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। অন্যদিকে মামলার আসামি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল পরীমনির অসমাপ্ত সাক্ষ্য শেষ করার আবেদন করেন। তিনি বলেন, ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর পরীমনি সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। এরপর ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি, ৬ মার্চ ও ২৩ মে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন পরীমনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। ২৪ জুলাই আংশিক সাক্ষ্য দেন। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর এবং চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি আবারও অনুপস্থিত থাকেন।

এ আইনজীবী বলেন, অবশিষ্ট সাক্ষ্য দিতে পরীমনির অবহেলায় আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। আসামিরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। পরীমনি সাক্ষ্য শেষ না করলে বিঘ্নিত হবে। আসামিপক্ষ অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হবে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক ‘ন্যায়বিচারের স্বার্থে’ পরীমনিকে ‘শেষবারের মত’ সময় দেন। পাশাপাশি আসামিদের যাতায়াত ভাড়া হিসেবে এক হাজার টাকা করে দিতে নির্দেশ দেন পরীমনিকে। এ মামলার তিন আসামি উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহিদুল আলম। আবাসন ব্যবসায়ী নাসির ঢাকা বোট ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। অমি ও শহিদুল আলমও বোট ক্লাবের সদস্য ছিলেন। ২০২১ সালের ৮ জুন পরীমনি সাভারের বিরুলিয়ায় তুরাগ তীরে ওই ক্লাবে হেনস্তার শিকার হওয়ার অভিযোগ তুললে শোরগোল পড়ে যায়। ১৩ জুন রাতে পরীমনি এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, আমি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাকে রেপ এবং হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। ওই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়ে লেখা এই পোস্ট দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পোস্টটি দেওয়ার ঘণ্টাখানেক পর গুলশানে নিজের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ জানান পরীমনি। পরদিন ধর্ষণচেষ্টা, হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন এই চিত্রনায়িকা। মামলা দায়েরের পরই রাজধানীর উত্তরার এক নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের বাসা থেকে ব্যবসায়ী নাসির ও অমিকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তদন্ত শেষে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন ৭ সেপ্টেম্বর তিনজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এরপর ২০২২ বছরের ১৮ মে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘দাবাং ৪’ নিয়ে যা বললেন আরবাজ
পরবর্তী নিবন্ধগ্রান্ডে-গোমেজের সংসার শেষ