সৌম্য সরকারের চোটের কারণে কনকাশন বদলি হিসেবে নেমে দারুণ এক ইনিংস খেলেন তানজিদ হাসান তামিম। ৮১ বলে ৯ চার আর ৪ ছক্কায় তামিমের ৮৪ রানের ইনিংসেই রান তাড়ায় পথ পায় বাংলাদেশ। তবে তামিম আউট হয়ে যাওয়ার পরও হারের শঙ্কায় ছিল টাইগাররা। ২৩৬ তাড়ায় ১৩০ রানে হারিয়ে বসেছিল ৫ উইকেট। শেষদিকে নেমে ব্যাট হাতে চমক দেখালেন রিশাদ হোসেন। তাতেই শঙ্কায় পড়া ম্যাচে জয় সহজ হয়ে যায় বাংলাদেশের। ১৮ বলে ৪৮ রানের টর্নেডো এক ইনিংস বেরিয়ে এসেছে রিশাদের ব্যাট থেকে। হার না মানা ইনিংসে ৫টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা হাঁকান লোয়ার অর্ডার এই ব্যাটার।
এর আগে বল হাতেও খুব একটা খারাপ করেননি। ৯ ওভারে ৫১ রান দিয়ে রিশাদ তুলে নেন লংকান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসের উইকেট। সবমিলিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কারটা উঠেছে রিশাদেরই হাতে। এদিকে অধিনায়ক শান্ত সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ব্যাট হাতে ভালো করতে পারেননি। ৫ বলে মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরত যান। তারপরও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের সেরা পারফরমার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তই।
সিরিজে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ এবং দুই দল মিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক শান্ত। প্রথম ওয়ানডেতে খেলেছিলেন ১২২ রানের অপরাজিত ইনিংস। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও তার ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান। সবমিলিয়ে ৩ ইনিংসে একটি সেঞ্চুরি ও ফিফটিসহ ১৬৩ রান করেছেন শান্ত। গড় ৮১.৫। সেইসঙ্গে দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দেওয়া তো ছিলই। ফলে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যকার তিন ম্যাচ সিরিজে সিরিজ সেরার পুরস্কার উঠেছে শান্তরই হাতে।