কক্সবাজারের চকরিয়ায় ভোজ্য তেল ও খাদ্যপণ্য জব্দ করতে গিয়ে মিলেছে অস্ত্র ও গুলি। এসময় আটক করা হয় এক পাচারকারীকে।
শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় এই অভিযান চালানো হয় বলে জানান র্যাব—১৫ এর সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী।
র্যাব জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারের সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও পাচারকারী বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য, জ্বালানি তেল ও ডিজেল অবৈধভাবে চোরাচাইপথে মিয়ানমারে পাচার করছে।
এতে করে একদিকে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। তাই পাচার রোধে র্যাব—১৫, কক্সবাজার গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। যার অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব—১৫ জানতে পারে, কতিপয় পাচারকারী সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিপুল পরিমাণ জ্বালানী তৈল অকটেন, ঔষধ ও সয়াবিন তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী অবৈধভাবে মিয়ানমারে পাচারের উদ্দেশ্যে চকরিয়ার চরণদ্বীপ এলাকাস্থ চারাইল্যার মুখ ভান্ডারী ঘোনার পাশে আব্দুর ছফুর এর চিংড়ির ঘেরে মজুদ করেছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকায় যৌথভাবে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে র্যাব।
এ সময় র্যাবের আভিযানিক দলের উপস্থিতি বুঝতে পেরে দিকবিদিক পলায়নের চেষ্টাকালে একজন পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়।
পরে তল্লাশী করে ১টি ওয়ান শুটার গান ও ১ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার এবং চিংড়ি ঘের থেকে ২ হাজার লিটার অকটেন, ৩৩০ লিটার সয়াবিন তেল, ৪৫০ কেজি ছোলা, ৫০ কেজি চিনি ও বিভিন্ন প্রকারের ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৮০০ পিস ঔষধ (ট্যাবলেট/ক্যাপসুল) জব্দ করা হয়।
আটক পাচারকারী হলো— চকরিয়া চিরিংগা কাশিম মিয়াজি সিকদার পাড়ার নুরুল আমিনের পুত্র মো. হেলাল (২২)।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, চক্রটি বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানী থেকে পাইকারি দামে জ্বালানী তৈল অকটেন, ঔষধ ও সয়াবিন তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী ক্রয় করে নিজেদের হেফাজতে মজুদ করে রাখতো। পরবর্তীতে সুবিধামত মজুদ করা পণ্য সামগ্রী অবৈধভাবে সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে উচ্চদামে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচার করে থাকে বলে জানায়।
উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন ও আটক পাচারকারীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চকরিয়া থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে।