শিশু দিবস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে পালিত হলেও বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়। ১৭ই মার্চ ২০২৪ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস।
শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ। তারাই জ্ঞানচর্চা ও প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হয়ে গড়ে তুলবে সবার জন্য কল্যাণকর নতুন বিশ্ব। আগামী দিনে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় নেতৃত্ব দেবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের জন্য সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এবং ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানে শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করেন। ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের অধিকার সুরক্ষার জন্য শিশু আইন প্রণয়ন করেন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে শিশুর শিক্ষা, সুরক্ষা ও উন্নয়নে কল্যাণকর বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ১৯৯৫ সালের ২৫শে ডিসেম্বর শিশু সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিশু–কিশোর মেলার আয়োজন করে। ওই আয়োজনে শিক্ষাবিদ ড. নীলিমা ইব্রাহীম ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণা দেওয়ার প্রস্তাব রাখেন। তখন সেখানে বিরোধী দলীয় নেত্রী (আমাদের বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মন্ত্রীসভা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে সরকারিভাবে ঘোষণা দেয়। এবং ১৯৯৭ সাল থেকে তা কার্যকর হয়। পরবর্তী সময়ে এদিনটিকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা ছিল অপরিসীম। শিশুদের সব অনুষ্ঠানে তিনি যেতেন। বঙ্গবন্ধু বলতেন, ‘শিশু হও, শিশুদের মতো হও। শিশুর মতো হাসতে শেখো, দুনিয়ার ভালোবাসা পাবে।‘ ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন হলেও তিনি কোনও আনুষ্ঠানিক জন্মদিন পালন করতেন না। ঐদিন তিনি শিশুদের সাথে আনন্দময় সময় কাটাতেন। বঙ্গবন্ধু নিজেও ছিলেন শিশুর মতো সহজ সরল। শিশুরা যাতে সুস্থ নিরাপদ পরিবেেেশ থেকে মুক্তচিন্তা নিয়ে বেড়ে উঠার সুযোগ পায় সেই কথা তিনি সবসময় ভাবতেন।
শিশুদের জন্য প্রিয় বাংলাদেশকে তিনি নিরাপদ আবাস ভূমিতে পরিণত করতে চেয়েছিলেন। তাই তাঁর জন্মদিনকে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে ১৭ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়। আজকের শিশু আগামী দিনের সক্ষম নাগরিক। তাই চারিত্রিক দৃঢ়তার পাশাপাশি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পুষ্টির দিকে নজর দিয়ে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ নিশ্চিত করা জরুরি।