ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় ত্রাণের জন্য অপেক্ষারত ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি সেনাদের পৃথক দুটি হামলায় অন্তত ২৯ জন নিহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রথম ঘটনায় গাজার মধ্যাংশের আল–নুসেইরাত শিবিরের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরায়েলের বিমান হামলায় আটজন নিহত হয়। খবর বিডিনিউজের।
পরে গাজার উত্তরাংশের একটি গোলচত্বরে ত্রাণবাহী ট্রাকবহরের জন্য অপেক্ষা করে থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিবর্ষণে অন্তত ২১ জন নিহত ও দেড়শ জনেরও বেশি আহত হয়।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ত্রাণ কেন্দ্রগুলোতে হামলার কথা অস্বীকার করে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনগুলোকে ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করেছে। পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় গাজা ভূখণ্ড প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, নিহত হয়েছে ৩১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি আর আহত ৭১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে গাজার প্রায় সবাই উদ্বাস্তু হয়ে গেছে।
কঠোর অবরোধ ও অবিরাম হামলার মধ্যে থাকা গাজাবাসীরা অনাহারে ভুগতে ভুগতে দুর্ভিক্ষের প্রান্তে চলে গেছে। ইতোমধ্যেই অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় শিশুসহ অনেকের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষুধায় বেপরোয়া হয়ে ওঠা লোকজন ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে। ত্রাণবাহী ট্রাক দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়ছে, ত্রাণের জন্য হুড়োহুড়ি করছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৯ ফেব্রুয়ারি গাজা সিটির কাছে ত্রাণ বিতরণের জন্য অপেক্ষারতদের ভিড়ের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়। তবে এই ঘটনার জন্য ইসরায়েল ত্রাণের জন্য বেপরোয়া লোকজনের হুড়োহুড়িকে দায়ী করে বলেছে, নিহতদের অনেকে পদদলিত হয়ে অথবা ত্রাণবাহী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার গাজার মধ্যাংশের দাইর আল–বালাহ এলাকার একটি বাড়িতে ইসরায়েরি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে নয়জন নিহত হয়েছে বলে ফিলিস্তিনি চিকিৎসা কর্মীরা জানিয়েছেন। গাজার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতভর ইসরায়েলের বাহিনীগুলো ধারাবাহিকভাবে দক্ষিণের রাফা শহরসহ পুরো ভূখণ্ডজুড়ে আকাশ ও স্থল হামলা চালিয়ে গেছে।