হাত পাতো কেশবতী, অঞ্জলি নাও!
তোমার ছড়ানো কেশে মেঘমালার লীলা কাঞ্চন হৃদয় কুঞ্জে ডুবেছে।
ঝিনুকের বুকে মুক্তো হয়ে পাহাড়পুরের কীর্তির মত
লুটেপুটে কত যে রহস্য করো, প্রিয় রহস্যময়ী!
এবার তুমি মেঘ হও, আগামী শ্রাবণে তোমার বাড়ি যাবো।
তোমার খোলসের জল তরঙ্গে ভেসে ভেসে দিগন্তের ওপাড়ে,
তেপান্তরে ডুবে যাবো, দু‘জনের চক্ষুর সন্তরণে অনাদিকাল!
কতকাল? যোজন যোজন আলোকবর্ষ পেরিয়ে যাবে নিরবধি,
থেকে যাবো আমরা দুজন, অচেনা প্রান্তে!
বটবৃক্ষ, বটবৃক্ষ আমার, আমার বুকের পাঁজরে যত পবিত্র বাক্য
পাঠ হয় সারা দিনমান, সবই তোমারই প্রেম, আমারই সুখ।
প্রেমময়ী, আমি তোমার শ্যাম, তুমি মুরলী হয়ে ঠোঁটে থাকো চিরকাল,
জীবনকে করো সাগরের সুরেলা উত্তাল।
আমি তোমার মুক্তো হবো, ঝিনুকের কপাট খুলে দাও,
জেগে উঠো, জেগে উঠো বটবৃক্ষ,
মন্ত্র আজ আমন্ত্রণ করেছে তোমার কপালের তিলককে।
তোমার কেশে জড়িয়েছি জীবন,
আমার দৈন্যতাকে পূর্ণ করো– হে ত্রিভুবনের মায়াবতী!