পূর্ব আফ্রিকার স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপাঞ্চল জাঞ্জিবার দ্বীপপুঞ্জে সামুদ্রিক কচ্ছপের মাংস খেয়ে আট শিশুসহ নয় জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া আরও ৭৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এনডিটিভি জানায়, জাঞ্জিবার দ্বীপপুঞ্জের পেমবা দ্বীপে হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে। গত ৫ মার্চ দ্বীপে একটি ভোজ আয়োজনে লোকজন কচ্ছপের মাংস খেয়েছিল। ওই অঞ্চলে সামুদ্রিক কচ্ছপের মাংসকে একটি সুস্বাদু খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। খবর বিডিনিউজের।
যদিও সবাই জানে, কচ্ছপের মাংস খেলে খাদ্যবিষক্রিয়া হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। মকোয়ানি জেলার মেডিকেল অফিসার ডা. হাজি বাকারি বলেন, গবেষণাগারে পরীক্ষা করে দেখা গেছে যারা মারা গেছেন তাদের সবাই সামুদ্রিক কচ্ছপের মাংস খেয়েছেন। খুব বিরল হলেও কচ্ছপের মাংস বিষাক্ত হতে পারে। যেটিকে চেলোনিটক্সিজম বলে। এ থেকে খাদ্যেবিষক্রিয়া হয়। কচ্ছপের শরীরে কোথা থেকে চেলোনিটক্সিজম আসে তা এখনো জানা যায়নি। তবে কচ্ছপ বিষাক্ত শেওলা খেয়ে থাকে। ওই শেওলা থেকে কচ্ছপের শরীরে বিষ জমতে পারে। ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন থেকে বলা হয়, চেলোনিটক্সিজম খুবই বিরল। তবে সামুদ্রিক কচ্ছপ খেলে কখনও কখনও তা থেকে প্রাণঘাতী খাদ্যবিষক্রিয়া হতে পারে। আক্রান্তদের শরীরে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনালের মত উপসর্গ দেখা দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে সামুদ্রিক কচ্ছপের শরীরের সব অংশই বিষাক্ত হতে পারে। এই বিষক্রিয়ায় মানুষ মাঝারি থেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।
৫ মার্চের ওই ঘটনার পর জাঞ্জিবার দ্বীপপুঞ্জ কর্তৃপক্ষ পেমবা দ্বীপে একটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দল পাঠিয়েছে। যাতে তারা স্থানীয়দের সামুদ্রিক কচ্ছপ খেতে বারণ করতে পারে। এর আগে ২০২১ সালে পেমবা দ্বীপে সামুদ্রিক কচ্ছপের মাংস খেয়ে তিন বছরের এক শিশুসহ সাত জন মারা যায়। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চেলোনিটক্সিজমে সবচেয়ে বেশি অসুস্থ হয় শিশু ও বয়স্করা।